
এনিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (AHCAB)–এর ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিন পর সরাসরি ভোটে আয়োজিত এ নির্বাচনে প্রাণিস্বাস্থ্য খাতসংশ্লিষ্টদের মধ্যে দেখা গেছে ব্যতিক্রমধর্মী আগ্রহ ও উদ্দীপনা।
ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ১০টায় এবং বিরতিহীনভাবে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ২০৩ জন ভোটারের মধ্যে ১৮৬ জন তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, যা প্রায় ৯১.৬ শতাংশ ভোটগ্রহণ হার। নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন কমিশনের সভাপতি এ.আর.এম. তাইবুর রহমান, সহকারী কমিশনার ডা. মো. তারেক হোসেন ও আব্দুল গোফরান।
শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়া এই নির্বাচনে ডা. সায়েম উল হকের নেতৃত্বাধীন ‘আহকাব আলফা’ প্যানেল নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেও প্যানেলের ১৫ জন প্রার্থীই বিজয়ী হন।
বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন:
ডা. সায়েম উল হক – ১৩০ ভোট
মো. আনোয়ার হোসেন – ১৫৯ ভোট
ডা. এস.এম.এফ.বি. আবদুস সবুর – ১৬৯ ভোট
তারেক মাহমুদ খান – ১৩৩ ভোট
মো. মোসলেহ উদ্দিন – ১৫৮ ভোট
মোহাম্মদ সরোয়ার জাহান – ১৩৭ ভোট
মোহাম্মদ খোরশেদ আলম – ১৪১ ভোট
মোহাম্মদ রাশেদুল জাকির – ১৫৯ ভোট
মো. মাহাবুব হাসান – ১৩০ ভোট
মো. তসলিম খান – ১১০ ভোট
খন্দকার রকিবুল ইসলাম – ১৩৬ ভোট
ডা. খন্দকার মুহাম্মদ মাহমুদ হাসান – ১৬২ ভোট
মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান – ১২৯ ভোট
ডা. মো. মোজাম্মেল হক খান – ১৬০ ভোট
মোহাম্মদ তারেক সরকার – ১৪০ ভোট
বিজয়ের প্রতিক্রিয়ায়:
বিজয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় ডা. সায়েম উল হক বলেন,
“এই জয় কোনো একক প্যানেলের নয়, এটি গোটা শিল্পের জয়। আমাদের দায়িত্ব এখন আরও বেড়ে গেছে। প্রাণিস্বাস্থ্য খাতের প্রযুক্তিগত ও কাঠামোগত উন্নয়ন, গবেষণায় উৎসাহ, এবং স্থানীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই আমরা জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে চাই।”
তিনি আরও বলেন,
“আমাদের এই পথচলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনকে অর্থবহ করে তুলেছেন। তাঁদের প্রতিও রইল আন্তরিক ধন্যবাদ।”
প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল ও নতুন প্রত্যাশা
নির্বাচনে অংশ নেয় তিনটি পক্ষ—ডা. সায়েম উল হকের নেতৃত্বাধীন ‘আহকাব আলফা’ প্যানেল, ডা. মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ‘সমমনা প্যানেল’, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. এইচ এম নাজমুল হক।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে AHCAB-এর নেতৃত্বে একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। খাতসংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ সংগঠনের কার্যক্রমে গতি আনবে এবং প্রাণিস্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।