ঢাকার বাজার ও দোকানে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৭৫-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছু দোকানে এর চেয়েও কম দামে গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। অতিরিক্ত দাম হওয়ার কারণে যাঁরা অনেক দিন গরুর মাংস কেনেননি, তাঁদের অনেকেই এখন মাংসের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।
গত মার্চে গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকায় উঠেছিল। বিক্রেতাদের কথায়, কম দামে গরু পাওয়ার কারণে তাঁরা এখন আগের চেয়ে কম দামে মাংস বিক্রি করতে পারছেন।
বাজারে অনেক দিন ধরেই গরুর মাংসের দাম বেশি থাকায় বেচাকেনা অনেক পড়ে গিয়েছিল। তবে মাংসের দাম কমে আসায় এখন আগের তুলনায় বেচাবিক্রি অনেকটাই বেড়েছে। দাম কমায় ক্রেতারাও খুশি। তবে কম দামের মাংসের মান নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। আবার যেহেতু সব বাজারে গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে না, তাই অনেকে খানিকটা বিভ্রান্তও হচ্ছেন।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মোর্তুজা বলেন, মূলত মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে আসার কারণে বাজারে হঠাৎ মাংসের চাহিদা কমে গিয়েছিল। এ কারণে ব্যবসায় টিকে থাকা নিয়েই শঙ্কায় পড়ে যান বিক্রেতারা। ঠিক এ সময়েই খামার থেকে আগের চেয়ে কম দামে গরু ছাড়া হয়েছে। সব মিলিয়েই মাংসের দাম কিছুটা নেমে এসেছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিস্বাস্থ্য শাখার উপপরিচালক শেখ শাহিনুর ইসলাম এর মতে, গরুর মধ্যে স্বাভাবিক যে রোগ এর বাহিরে কোন রোগ ও দেখা যায় নাই।