মেহেরপুরে সবজির ক্ষেতে পোকা আক্রমণ করেছে ব্যাপকহারে। কৃষকরা বলছেন, জমিতে ছড়িয়ে পড়েছে কালো মাথার পোকা। কীটনাশক দিয়েও এ পোকা দমন করা যাচ্ছে না। সবজির ক্ষেতে পোকা আক্রমণ তা দমনে ব্যর্থ হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পোকা দমন বা নিধনে কৃষি অফিসের কোনো ধরনের সহায়তাও পাচ্ছেন না তারা।
কৃষকদের পক্ষ থেকে এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায় প্রায় সব কপির ক্ষেত পোকায় আক্রমণ করেছে।
অধিকাংশ কপির জমিতে পাতা ফুটো ও হলুদ আকার ধারণ করেছে কালো মাথার পোকার আক্রমণে।
শিকড় পচে এক পর্যায়ে গাছ মরে যাচ্ছে।
কীটনাশকেও কাজ হচ্ছে না
পোকা দমনে কৃষকেরা বিভিন্ন কোম্পানির ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক ব্যবহার করেছেন।
কিন্তু কোনো ধরনের সুফল পাচ্ছেন না তারা।
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের সবজি চাষি শুকুর আলী।
তিনি বলেন, এবছর প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে বাঁধাকপির চাষ করেছেন তিনি।
গ্রামের অধিকাংশ কৃষকের মত তার ফুলকপি ও বাঁধাকপির ক্ষেতে ব্যাপকভাবে পোকার আক্রমন হয়েছে।
কালো মাথা ও উড়া পোকা আক্রমণ দমনের জন্য কৃষক দানাদার ও তরলজাতীয় কীটনাশক ব্যবহার করছেন।
কিন্তু এর আক্রমণ কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না।
এক বিঘা জমিতে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার শুধু কীটনাশক ব্যবহার করছে কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।
একই গ্রামের কৃষক শমসের আলী।
প্রতিবছর তিনি ৫ থেকে ৬ বিঘা শুধু কপির চাষ করেন।
এবারেও তিনি তার ৫ বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ করেছেন।
কিন্তু পোকার কারণে সবই ক্ষতিগ্রস্ত।
তার ভাষায় গ্রামের দোকান থেকে শহরের দোকানে পোকা দমনের জন্য উন্নত কীটনাশকের ব্যবহার করেছেন।
কিন্তু কোনোটাতেই সুফল হচ্ছে না।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ এর সাথে কথা হয়।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ফুলকপি ও বাঁধাকপির জমিতে লেদা পোকার আক্রমণ হয়েছে।
অনেকে ছত্রাকনাশক ও কীটনাশকের বেশিমাত্রার ব্যবহার করেছেন।
যার কারণে পোকার সহনশীল ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেকারণে কীটনাশক যথাযথভাবে কাজ করতে পারছে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কৃষি কর্মকর্তারা অন্য কীটনাশক ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে আগাম ও মৌসুমী বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাষ হয়েছে।