Wednesday, 24 December, 2025

শসা উৎপাদনে বাম্পার ফলন, দুশ্চিন্তায় কৃষক


মেঘনা উপকূলবর্তী একটি জনপদ লক্ষ্মীপুর জেলা। এই জেলায় সয়াবিনের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে চাষ হয় শসার। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে এবার শসা উৎপাদনে বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে রোদ আর ভাইরাসে গাছ মরে গেছে অনেক। এতে কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ও কমলনগরের চরমার্টিন গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।

এদিকে লক্ষ্মীপুরে কোনো হিমাগার নেই উৎপাদিত সবজি সংরক্ষণের জন্য।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশের কাঁচা পাট রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা: পশ্চিমবঙ্গের চটকল শিল্পে চরম সংকট
বাংলাদেশের কাঁচা পাট রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা: পশ্চিমবঙ্গের চটকল শিল্পে চরম সংকট

ঢাকা গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশ কাঁচা পাট রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করায় গভীর সংকটের মুখে পড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের চটকলগুলো। Read more

পালং শাক চাষ লাভজনক করতে চাষিদের করনীয় ও বর্জনীয়
পালং শাক চাষ লাভজনক করতে চাষিদের করনীয় ও বর্জনীয়

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পালং শাক একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও লাভজনক শীতকালীন সবজি। অল্প সময়ে, কম পুঁজিতে এবং সীমিত জমিতে এটি চাষ Read more

ফলে অল্প সময়ে খুব কম দামে উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে হয়।

এ কারণেই কৃষকরা উৎপাদিত শসার ভালো দাম পাচ্ছে না।

এবার জেলায় শসার আবাদ হয়েছে ৬২০ হেক্টর জমিতে।

এতে কৃষি বিভাগ ১১ হাজার ৯৮ মেট্টিক টন শসা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ কোটি টাকা।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকরা জমিতে ফসল চাষ করে ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টায়।

কিন্তু সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয় না বিভিন্ন রোগবালাইয়ের কারণে।

এর পরিবর্তে হতাশায় ভুগতে হয় ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে।

এরপরও থেমে থাকেনি এ জেলার কৃষকরা।

মৌসুম অনুযায়ী অন্যান্য ফসল চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তারা।

কৃষিতেই তাদের জীবন চলে, তা সে লাভের চেয়ে লোকসানের পাল্লা ভারী হলেও।

জেলার চাহিদা মিটিয়ে তাদের উৎপাদিত শসা আশপাশের জেলাগুলোতে সরবরাহ করা হয়।

জানা গেছে, সিংহভাগ শসা উৎপাদন হয় সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে।

এ উপজেলার লাহারকান্দি, উত্তরজয়পুর, শাকচর, টুমচর, চররমনী, তেওয়ারীগঞ্জ অঞ্চলে শসার চাষ হয়।

এ ছাড়াও  কমলনগর উপজেলার উত্তর চরলরেন্স, মধ্য চরমার্টিন, উত্তর চরমার্টিন, চর কালকিনি, চর ফলকন ও চর কাদিরা এলাকাতেও এখন নিয়মিত শসার উৎপাদন হচ্ছে।

জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন।

তিনি বলেন, শসা ৬০-৬৫ দিনের ফসল।

গাছটা দুই থেকে তিনবার ফলন দেয়।

এরকম ফলন দিয়েই মারা যায় এ গাছ।

যদি কৃষকরা প্রয়োজন অনুসারে পরিমাণমতো কীটনাশক না প্রয়োগ করে তাহলে পাতাগুলো জ্বলে যেতে পারে।

অন্যদিকে কড়া রোদেও যদি কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, তাহলেও গাছ মারা যেতে পারে।

তাই কীটনাশক দিতে হবে সকালে অথবা বিকেলে।

তিনি আরও বলেন যদি নিয়ম অনুযায়ী কীটনাশক ব্যবহার করা হয় তবে শসা গাছ মরে যাওয়ার কথা নয়।

0 comments on “শসা উৎপাদনে বাম্পার ফলন, দুশ্চিন্তায় কৃষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ