Thursday, 11 December, 2025

মাগুরা জেলায় আউশের আবাদ হয়েছে দুই হেক্টর বেশি জমিতে


বিভিন্ন স্থানে আউশের আবাদ নিয়ে যেখানে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই, সেখানে মাগুরা জেলায় তার ব্যাতিক্রম। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বরং বেশি জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। মাগুরা জেলায় আউশের আবাদ হয়েছে আগের তুলনায় দুই হেক্টর বেশি। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি চাষ করা হয়েছে এবং ফলনও গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রায় দুই হেক্টর জমিতে এ চাষ বেশি হয়েছে। তুলনামূলক ভাবে লাভ বেশি হচ্ছে। কৃষি বিভাগ জানায় যে এ চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আউশের আবাদের পরিমাণ বেড়েছে

কৃষি অফিস সূত্রে গেলে জানা যায়, জেলায় মোট ১১ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে এ বছর আউশ ধানের মৌসুমে। চাষকৃত এ জমিতে ইতিমধ্যে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এ লক্ষ্যমাত্রাও আগের তুলনায় বেশি। এ বছর আউশ ধানের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ১৯ হাজার মেট্রিকটনের বেশি বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস ।

আরো পড়ুন
পাহাড়ে বারি-৪ লাউ চাষে সাফল্য: কাপ্তাইয়ের রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রে বাম্পার ফলন
লাউ চাষের বাম্পার ফলন

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাস্থ রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (পিএআরএস) বারি-৪ জাতের লাউ চাষে বড় ধরনের সাফল্য Read more

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সকল পক্ষের স্বার্থকে সমন্বিত করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি Read more

কৃষি অফিস এর সূত্র অনুসারে উপজেলা ভিত্তিক আউশের আবাদ এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে  বিস্তারিত জানা গেছে।  জানা গেছে বিভিন্ন উপজেলা ভিত্তিক আউশের আবাদ এর পরিমাণ বেশি হচ্ছে। মাগুরা সদর উপজেলায় ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে  আউশের আবাদ হয়েছে । আউশের আবাদ হয়েছে শালিখা উপজেলায়ও। প্রায় ৩ হাজার ৫১০হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে এ উপজেলায়। অন্যদিকে মহম্মদপুর উপজেলায় আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে । শ্রীপুর উপজেলায়  ৩০০ হেক্টর জমি এ চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এখন থেকেই পুরোদমে আউশ ধান কাটা চলছে জেলার চার উপজেলায় ক্ষেত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাঠভর্তি পাকা ফসল তোলায় চাষিরা ব্যাস্ত সময় পার করছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়। অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক জানান, ইতিমধ্যেই জেলার জমির আউশ ধান কাটা শেষ হয়েছে ৬৫ শতাংশ । তিনি জানান ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো হবে খুব। আবহাওয়ার আনুকূ্ল্যে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা খুব বেশি বলে তিনি জানান।

অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আরো জানান আউশের চালের ভাত খেতে খুব সুস্বাদু হয়। আউশ ধান উৎপাদনের এ জেলার মাটি  বেশ উপযোগী। কৃষকরা আগ্রহ সহকারে প্রতি বছর আউশ আবাদ করেন। এ চালের চাহিদা প্রচুর বলেও জানান এ কৃষিবিদ।

0 comments on “মাগুরা জেলায় আউশের আবাদ হয়েছে দুই হেক্টর বেশি জমিতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ