Saturday, 17 May, 2025

সর্বাধিক পঠিত

বিনা-২১ ধানের ফলন বেশি, আউশের মৌসুমে বোরোর মত ফলন


আউশ মৌসুমে আউশ ধানের ফলন কম হয়।  আর এ কারণে ধান চাষ করতে চান না অনেক কৃষক । তবে নতুন উদ্ভাবিত ধান বিনা-২১ ধানের ফলন বেশি, প্রধান মৌসুম বোরোর মতোই ফলন পাওয়া গেছে। নতুন বিনা-২১ ধানের ফলন বেশি হবে বলে জানিয়েছে বিনা।

ধানটি রুক্ষ0 পরিবেশে টিকে থাকতে সক্ষম। উৎপাদন খরচও কম ধানটিতে।

চাষে সময়ও লাগে কম চিকন চালের ধানটি।

আরো পড়ুন
শেরপুরের গারো পাহাড়ে বাণিজ্যিক আনারস চাষে সাফল্য: সম্ভাবনায় ভরপুর পাহাড়ি কৃষি

শেরপুর জেলার গারো পাহাড়ে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হওয়া বাণিজ্যিক আনারস চাষ এখন রূপ নিচ্ছে স্থায়ী ও লাভজনক কৃষি উদ্যোগে। পাহাড়ি জমিতে Read more

ইয়াং অ্যাগ্রিকালচার ক্যাডার অফিসার্স ফোরাম’-এর আত্মপ্রকাশ, ৪১ সদস্যদের কমিটি

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) কৃষি ক্যাডারের নবম গ্রেডে কর্মরত তরুণ কর্মকর্তাদের উদ্যোগে গঠিত হয়েছে নতুন সংগঠন—‘ইয়াং অ্যাগ্রিকালচার ক্যাডার অফিসার্স ফোরাম’। Read more

কুমিল্লার কৃষকরা বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধানটি এবার চাষ করেছেন।

কম সময়ে এবং কম খরচে বেশি ধান পাওয়ায় খুশি তারা।

বিনা-২১ ধানের উৎপাদন খরচ কম

বিনার গবেষকদের তথ্যানুযায়ী, বিনা-২১ চাষ করে কৃষক হেক্টর প্রতি সাড়ে পাঁচ টন ধান পেয়েছেন।

আগে অন্য ধান চাষ করে আউশ মৌসুমে  হেক্টরে পৌনে তিন টন ধান পেতেন।

প্রধান মৌসুম বোরোর মতোই বিনা-২১ চাষে  ফলন হচ্ছে।

বুড়িচং উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের কৃষক শামছুল হক ও নজরুল ইসলাম বলেন, এ জাতের ধান এবারই প্রথম তারা চাষ করেছেন।

তাদের সহযোগিতা করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

ধান ভালো হয়েছে, খরচও কম হয়েছে।

বিনা কুমিল্লা উপকেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন।

তিনি বলেন, শৌখিন কুমিল্লার মানুষ চিকন চাল খেতে পছন্দ করেন।

বিনা ধান-২১-এর চাল চিকন হবার কারণে কৃষক ভালো লাভ পাবেন।

তিনি  আরও জানান এই ধান পানি ছাড়া ২০ দিন টিকে থাকতে পারে।

উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।

তিনি বলেন, অনেক জমি খালি পড়ে থাকে আউশ মৌসুমে।

অনেকে ফলন কম পাওয়ায় এই মৌসুমে ধান চাষ করতে চান না।

বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।

তিনি বলেন, এই বিনা ধান-২১ উদ্ভাবন করা হয় আফ্রিকার নেরিকা-১০ ধানের জাত থেকে।

আফ্রিকাতে নেরিকার ফলন অনেক কম হতো। তাই এটি নিয়ে কৃষকের আগ্রহ কম ছিল। এতে গামা রশ্মি প্রয়োগ করে ফলন বাড়ানো হয়েছে তিনি দাবি করেন।

তিনি বলেন গাছের উচ্চতা কম-বেশি সমান করা হয়। চিকন করা হয় মোটা ধানের সাইজ। তাই কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে এই ধান চাষ নিয়ে।

তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন যে, আগামীতে আউশ মৌসুমে উঁচু সব জমি বিনা ধান-২১-এ হেসে উঠবে। এতে দেশের খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়বে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

0 comments on “বিনা-২১ ধানের ফলন বেশি, আউশের মৌসুমে বোরোর মত ফলন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ