মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, ‘বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আনলে অনেক অর্থ ব্যয় হয়। দেশে তৈরি করলে এ ব্যয় এক-তৃতীয়াংশ হবে। এতে আমাদের অর্থ সাশ্রয় হবে। করোনাকালে যত বেশি অর্থ সাশ্রয় হবে, সে অর্থ দিয়ে আমরা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবো। প্রাণিসম্পদ খাতে দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে বিদেশ থেকে আমদানি কমাতে হবে।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সম্মেলনকক্ষে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত সায়েন্টিফিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত দিনব্যাপী এ কনফেরেন্সে ২১টি গবেষণা পেপার উপস্থাপন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিভাবান বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারলে সেটা কেন আমরা বিদেশ থেকে আনবো? গবেষণালব্ধ সম্পদ সরবরাহ করতে না পারলে দেশের প্রাণিসম্পদ খাত ধ্বংস হয়ে যাবে। সেজন্য এ খাতের বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান দিয়ে প্রাণিসম্পদ খাতকে বিকশিত করতে হবে, সমৃদ্ধ করতে হবে। বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবার মতো অবস্থা সৃষ্টি করতে হবে।
গবেষক ও বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের সীমিত সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহার করতে হবে। মেধার বিকাশ যে যতটা ঘটাবেন তিনি তত বেশি সৃষ্টি করতে পারবেন। নিজ যোগ্যতার প্রকাশ ও বিকাশ করাটাই আপনাদের দায়িত্বের পরিধি। একজন বিজ্ঞানী বা একজন ভালো লেখাপড়া করা ব্যক্তির প্রতিভার বিকাশ সম্পূর্ণ আলাদা দেখতে চাই। দেশের বাইরে আমাদের বিজ্ঞানীরা প্রতিভার বিকাশ ঘটাচ্ছেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন।
এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারসহ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গবেষক এবং বিজ্ঞানীরা উপস্থিত ছিলেন।