ধানের চাষ করতে গিয়ে সরিষা, কলাই প্রভৃতি চাষে কৃষকের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। অথচ বছরে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। যার পেছনে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। ধানের উৎপাদন না কমিয়ে যদি বাড়তি ফসল সরিষা, আলু, কলাই করা যায় তাহলে দেশের কৃষি বিরাট উপকৃত হবে এবং কৃষক লাভবান হবে।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) ভার্চ্যুয়ালি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) আয়োজিত ‘কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবসে’প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
উচ্চফলনশীল ‘বিনা-৯’জাতের সরিষার মাঠ প্রদর্শনী উপলক্ষে পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমনে বিনা-১৬ জাতের ধান চাষ করলে বোরো ধান চাষের আগে আরেকটি ফসল করা সম্ভব। বিশেষ করে বিনা উদ্ভাবিত সরিষা। এতে একদিকে ধানের ফলন কমবে না, অন্যদিকে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
কৃষিতে সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষির উন্নতি না হলে বাংলাদেশের উন্নতি হবে না। সেজন্য কৃষিবান্ধব সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
বিনা’র ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্য মীর ফারুক আহম্মেদের সভাপতিত্বে মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, পিএসও ড. মো. শহীদুল ইসলাম, আছিয়া আহসান আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বেলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।