কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক আলু ও পেঁয়াজের বর্তমান মূল্য বৃদ্ধির জন্য হিমাগার মালিকদের দায়ী করে বলেছেন, সরকার তাদের অসহযোগিতার কারণে দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে।
মন্ত্রী লক্ষ্য করেছেন যে এ বছর আলু উৎপাদন দুই লাখ টন কমেছে এবং “কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন”।
প্রতি কেজির দাম ২০ টাকার নিচে হলে ও হিমাগার মালিকরা ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম নিচ্ছেন।
“চালের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও হিমাগার মালিকদের অসহযোগিতার কারণে সরকার আলু-পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।”
রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও মনিটরিং কমিটির বৈঠকে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সরকারি চাল, ধান ও গম সংগ্রহ নিয়ে বৈঠক হলেও চলতি অধিবেশনে আলু, পেঁয়াজ ও সবজির উচ্চমূল্য নিয়ে সাংবাদিকদের কড়া প্রশ্নের সম্মুখীন হন মন্ত্রীরা।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হলো উৎপাদন নিশ্চিত করা যেখানে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।
এ বছর পেঁয়াজ আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে কৃষি মন্ত্রণালয় কেন সম্মতি দেয়নি তা ব্যখ্যা করেন মন্ত্রী।
“গত বছর, পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো ছিল, কিন্তু কৃষকরা সন্তোষজনক দাম পায়নি। আমরা এই বছর তাদের জন্য ভালো দাম নিশ্চিত করে তাদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেছি।”
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বোরো মৌসুমে চার লাখ টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে দুই লাখ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং ১২ দশমিক ৫ লাখ টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৪ দশমিক ৫ লাখ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছিল।
বর্তমানে ১৬.২০ লাখ টন চালের মজুদ রয়েছে। এছাড়া ১ লাখ ৫৩ হাজার টন গম মজুদ রয়েছে।
বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়ার কারণ নিয়ে কৃষিমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে মন্ত্রী যুক্তি দেন, সবজির দাম প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে।
“মাত্র দুই দিনের বৃষ্টি উৎপাদন ও পরিবহন ব্যাহত করতে পারে, যার ফলে বিভিন্ন সবজির দাম বেড়ে যায়।”