Friday, 22 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

মাগুরা জেলায় আউশের আবাদ হয়েছে দুই হেক্টর বেশি জমিতে


বিভিন্ন স্থানে আউশের আবাদ নিয়ে যেখানে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই, সেখানে মাগুরা জেলায় তার ব্যাতিক্রম। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বরং বেশি জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। মাগুরা জেলায় আউশের আবাদ হয়েছে আগের তুলনায় দুই হেক্টর বেশি। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি চাষ করা হয়েছে এবং ফলনও গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রায় দুই হেক্টর জমিতে এ চাষ বেশি হয়েছে। তুলনামূলক ভাবে লাভ বেশি হচ্ছে। কৃষি বিভাগ জানায় যে এ চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আউশের আবাদের পরিমাণ বেড়েছে

কৃষি অফিস সূত্রে গেলে জানা যায়, জেলায় মোট ১১ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে এ বছর আউশ ধানের মৌসুমে। চাষকৃত এ জমিতে ইতিমধ্যে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এ লক্ষ্যমাত্রাও আগের তুলনায় বেশি। এ বছর আউশ ধানের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ১৯ হাজার মেট্রিকটনের বেশি বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস ।

আরো পড়ুন
মিঠা জাতের পান চাষে লাভবান কৃষক

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ফুলের ঘাট এলাকার পান চাষের এই চিত্র সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। পান চাষ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় এটি ক্রমশ Read more

দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে চমক দেখালেন কৃষক মুক্তার

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কৃষক মুক্তার হোসেন মোল্যা দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে উদ্ভাবনী সাফল্য দেখিয়েছেন। সালথা উপজেলা পাট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত Read more

কৃষি অফিস এর সূত্র অনুসারে উপজেলা ভিত্তিক আউশের আবাদ এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে  বিস্তারিত জানা গেছে।  জানা গেছে বিভিন্ন উপজেলা ভিত্তিক আউশের আবাদ এর পরিমাণ বেশি হচ্ছে। মাগুরা সদর উপজেলায় ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে  আউশের আবাদ হয়েছে । আউশের আবাদ হয়েছে শালিখা উপজেলায়ও। প্রায় ৩ হাজার ৫১০হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে এ উপজেলায়। অন্যদিকে মহম্মদপুর উপজেলায় আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে । শ্রীপুর উপজেলায়  ৩০০ হেক্টর জমি এ চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এখন থেকেই পুরোদমে আউশ ধান কাটা চলছে জেলার চার উপজেলায় ক্ষেত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাঠভর্তি পাকা ফসল তোলায় চাষিরা ব্যাস্ত সময় পার করছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়। অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক জানান, ইতিমধ্যেই জেলার জমির আউশ ধান কাটা শেষ হয়েছে ৬৫ শতাংশ । তিনি জানান ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো হবে খুব। আবহাওয়ার আনুকূ্ল্যে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা খুব বেশি বলে তিনি জানান।

অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আরো জানান আউশের চালের ভাত খেতে খুব সুস্বাদু হয়। আউশ ধান উৎপাদনের এ জেলার মাটি  বেশ উপযোগী। কৃষকরা আগ্রহ সহকারে প্রতি বছর আউশ আবাদ করেন। এ চালের চাহিদা প্রচুর বলেও জানান এ কৃষিবিদ।

0 comments on “মাগুরা জেলায় আউশের আবাদ হয়েছে দুই হেক্টর বেশি জমিতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *