Wednesday, 13 August, 2025

বাণিজ্যিক ভাবে ছাদ বাগান, চমক সৃষ্টি চুয়াডাঙ্গায়


আব্দুর রশিদ টিটো মিয়া  চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকার বাসিন্দা। তিনি তার এলাকায় বাণিজ্যিক ভাবে ছাদ বাগান করে চমক সৃষ্টি করেছেন। সবুজের সমারোহ সমগ্র বাগানজুড়ে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার দেশি-বিদেশি গাছ রয়েছে তার বাগানে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে করোনাকালে প্রতিমাসে অনলাইনে গাছের চারা বিক্রি করে আয় করছেন তিনি। এ সময় তার আয় ছিল প্রায় ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।

শখের ছাদবাগানের শুরু বোনের হাত ধরে

বাণিজিকভাবে এই বাগানের শুরু তার বোনের মাধ্যমে। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়েই তার বোনের দেওয়া ই-ফোরবিয়া গাছ দিয়ে ছাদে বিশাল বাগান গড়ে তুলেছেন। বাগান নিয়ে তার পরিকল্পনা অবিশ্বাস্য। বাণিজ্যিকভাবে বাগান করে কর্মসংস্থানের জন্য জমি না থাকলে ছাদেও করা যায়। তার এই উদ্যোগ যেন তারই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ তৈরি করেছে। ৬০ বছর বয়সেও টিটো মিয়া অসম্ভব পরিশ্রমী, আধুনিক চিন্তা-ভাবনা ও সৃজনশীল গুণী মানুষ । গাছের প্রতি তার ভালোবাসা সবাইকে মুগ্ধ করেছে।

আরো পড়ুন
সেচ সংকট ও খরা পশু খাদ্য উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করছে

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সেচ সংকট এবং খরার কারণে পশু খাদ্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আবহাওয়ার অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ফলে দেশের অনেক Read more

ফরিদগঞ্জে ‘সোনালি আঁশ’ এখন সোনালি অতীত? আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা একসময়  ছিল পাটের জন্য বিখ্যাত। চারপাশে দেখা যেত পাটের খেত, আর নদী-খাল-পুকুরে চলত পাট জাগ দেওয়া ও Read more

টিটো মিয়ার প্রতিবেশি মুকুল হোসেন জানান তার মতো গাছ পাগল মানুষ তিনি আর দেখেননি।  তিনি িআরও জানান যে, চুয়াডাঙ্গায় প্রতিষ্ঠিত সকল নাসার্রীই তার নিজ হাতে গড়া।

টিটো মিয়ার মেয়ে হুমায়রা সিনথিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রী। তিনি জানান  শৈশব থেকে তিনি তার বাবাকে ছাদে গাছ লাগাতে লাগাতে বাগান তৈরি করতে দেখেছেন।  শখের বশে তিনি িএই বাগান করতেন। সেই বাগান থেকেই এখন অনলাইন বিজনেস করছেন তিনি।

করোনার লকডাউনের মধ্যেও তার অনলাইন বিজনেস চালু ছিল।

আব্দুর রশিদ টিটো মিয়া গাছ সংগ্রহ প্রসঙ্গে বলেন বিভিন্ন নার্সারি থেকে তার মতো যারা গাছ প্রেমিক তারা গাছ কিনে থাকেন। এই গাছ আবার যত্নের মাধ্যমে বড় করে বিক্রি করেন, আবার নতুন গাছ সংগ্রহ করেন।

তিনি বলেন প্রথমে শখের বশে গাছ সংগ্রহ করলেও সময়ের পরিবর্তনে সেটা বাণিজ্যিক রূপ লাভ করে। তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে তিনি ছবি আপলোড করেন। গ্রাহকরা  যে গাছ পছন্দ করে তার দাম নিধার্রণ হলে গাছ পেকিং করে কুরিয়ারের সাহায্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি জানান, জমি না থাকলেও বাণিজ্যিক ছাদ বাগান করা সম্ভব। অনেক বেকার যুবক-যুবতী অনলাইনের মাধ্যমে বেচা-কেনা করে আর্থিক স্বচ্ছলতায় আসতে পারে। করোনাকালে  যে কোনো বয়সের মানুষই ছাদ বাগান করার সামর্থ্য্ রাখেন। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ছাদ বাগান করে বাড়তি আয় করা সম্ভব।

0 comments on “বাণিজ্যিক ভাবে ছাদ বাগান, চমক সৃষ্টি চুয়াডাঙ্গায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ