Sunday, 14 December, 2025

পাগলা ঘোড়ার পিঠে দ্রব্য মূল্য, নিয়ন্ত্রন নেই।


সারাদেশে পাইকার সিন্ডিকেটের দৌড়াত্ব বেড়েছে

পাগলা ঘোড়ার পিঠে দ্রব্য মূল্য, নিয়ন্ত্রন নেই। রাজধানীসহ সারাদেশে অধিকাংশ নিত্যপন্যের বেড়েই চলছে এতে ক্রেতারা হতাশ হয়ে পড়েছে। এবার সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মাছ মাংস ডিম ও পেঁয়াজের দাম।

মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষেরা সংসার চালাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে। লাগামহীনভাবে বাড়ছে মাছের দামও। সবচেয়ে কম দামে এখন বিক্রি হচ্ছে চাপিলা মাছ। এর কেজিও দেড়শ টাকার নিচে নয়। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে ডিমের ডজনের দাম আবারও দেড়শ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। ডিমের হালি ৫০ টাকার নিচে মিলছে না।

মাছের বাজারের মুল্য তালিকা

আরো পড়ুন
পাহাড়ে বারি-৪ লাউ চাষে সাফল্য: কাপ্তাইয়ের রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রে বাম্পার ফলন
লাউ চাষের বাম্পার ফলন

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাস্থ রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (পিএআরএস) বারি-৪ জাতের লাউ চাষে বড় ধরনের সাফল্য Read more

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সকল পক্ষের স্বার্থকে সমন্বিত করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি Read more

গতকাল  রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট আকারে রুই মাছ বিক্রিয় হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা যা গত মাসেও বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। মাঝারি সাইজের রুই মাছের কেজি ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা। যা গত মাসেও বিক্রি হয়েছিল ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। মাছ যত বড় হয়, তার দামও তত বাড়তে থাকে। পাবদা মাছ সর্বনিম্ন সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে আকার ভেদে ৬০০ টাকা কেজি। বেলে মাছ সাড়ে ৭০০ টাকা কেজি। টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া চিংড়ি ৪০০ থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

কাচা বাজারের মূল্য তালিকা

বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটোর দাম ১৪০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, এক হালি কাঁচা কলার দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ছোট এক টুকরো মিষ্টি কুমড়োর দামও ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজিতে ২০ টাকা কমে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে , আলু ৩০ টাকা। তবে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ ও আদা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। আগে খোলা চিনির কেজি ছিল ৯০ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। আগে প্যাকেট চিনি কেজি ছিল ৯৫ টাকায়। দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডালের কেজি ১১০, লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।

তবে বেড়েছে ডিমের দাম। ডজন প্রতি পাইকারি ১৪৩ থেকে ১৪৫ ও খুচরা ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি।

এদিকে চালের দাম কমছে না প্রতিকেজি মিনিকেট ও বাশমতি নামের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৭০-৭৫ টাকায়। নাজিরশাইল চাল ইতোমধ্যে ৭৫-৮০ টাকা। এছাড়া খুচরা বাজারে বিআর ২৮ জাতের চাল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকায়।

বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলছে তাদের কিনতেই বেশি খরচ করতে হচ্ছে তার উপর রয়েছে বেশি গাড়ি ভাড়া।

0 comments on “পাগলা ঘোড়ার পিঠে দ্রব্য মূল্য, নিয়ন্ত্রন নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ