Tuesday, 26 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

দেখা নেই পরিযায়ী পাখির এই শীতে


দেখা নেই পরিযায়ী পাখির

আমাদের দেশে শীত নামলেই পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখিরা উড়ে আসে তারা। যাযাবর পাখিগুলো প্রতি বছর খাবার, প্রজনন ও বাসস্থানের সন্ধানে আমাদের দেশে আসে। ঢাকা চিড়িয়াখানা লেক, মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝিলসহ দেশের বিভিন্ন হাওরে ঘাঁটি গাড়ে এরা। তবে এবছর দেখা নেই পরিযায়ী পাখির যদিও শীত বাড়ছে ক্রমাগতই। ঢাকা চিড়িয়াখানার লেকে দেখা নেই পরিযায়ী পাখির এখনও।

চিড়িয়াখানার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জানুয়ারির মাঝামাঝি পরিযায়ী পাখির দেখা মিলতে পারে। যদিও এর আগেই কথা থাকলেও দেখা নেই পরিযায়ী পাখির এই তীব্র শীতেও।

বন্ধের দিনেও চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড়

আরো পড়ুন
পান চাষ পদ্ধতি

পান চাষ একটি লাভজনক কৃষি পদ্ধতি, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশে এটি ব্যাপক চাষ করা হয়। Read more

মিঠা জাতের পান চাষে লাভবান কৃষক

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ফুলের ঘাট এলাকার পান চাষের এই চিত্র সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। পান চাষ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় এটি ক্রমশ Read more

আজ রোববার সরেজমিনে জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রাণীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জানিয়েছেন তাদের শীত থেকে বাঁচাতে খাঁচায় খড় ও পাটের চট দেওয়া হয়েছে বলে।

সাধারণত বেশিরভাগ পরিযায়ী পাখির বাংলাদেশে আগমন ঘটে বরফ শুভ্র হিমালয় ও হিমালয়ের ওপাশ থেকেই।

এসব পাখি খাবার, থাকা ও বাসা বানানোর সন্ধানেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি জমায়।

আজ রোববার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ছিল চিড়িয়াখানার।

তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন থাকলেও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত ছিল।

মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গত বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম রোববার চিড়িয়াখানায় প্রবেশে কোনো টিকিট লাগেনি।

এবারও বছরের প্রথম রোববার দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন।

কিন্তু মূল ফটকের বাইরে থেকেই তাদের ফিরে যেতে হয়েছে।

দর্শনার্থীরা অভিযোগ করছেন, আগে থেকে বিষয়টি না জানানোর কারণে।

সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা যায়, শীতের শুরু থেকেই দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।

শীতের প্রকোপ থেকে প্রাণীদের বাঁচাতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে

চিড়িয়াখানায় গাছপালার পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এখানে শীতও বেশি।

তবে কর্তৃপক্ষ শীতের প্রকোপ থেকে প্রাণীদের সুরক্ষিত রাখতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, পরিচ্ছন্নকর্মীরা কাজ করছেন।

অন্যদিকে বাঘ, সিংহ, ঘোড়া, জিরাফেরা নিজ নিজ খাঁচায় নির্ভার হয়ে ঘোরাফেরা করছে।

জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আব্দুল লতিফ।

তিনি বলেন, শীতে পশু-পাখির তেমন কোনো ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা যায়নি।

শীতের শুরু থেকেই প্রতি বছরের মতো এবার পশুপাখিদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে বাঁচাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান যে, রোববার সাধারণত চিড়িয়াখানা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলে।

শীতের সময় সুরক্ষা দেবার জন্য বাঘ, সিংহের খাঁচায় মোটা বালু দেওয়া হয়েছে।

যাদের শীতে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেশি, তাদের খাঁচা রাতের বেলায় পাটের চট দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।

সকাল হলেই আবার চট সরিয়ে নেওয়া হয়।

বড় প্রাণীদের খাঁচায় শীত কম লাগার জন্য খড় বিছানো হয়েছে।

চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা সারোয়ার রনি।

তিনি জানান, গত বছর জন্ম নিয়েছে জিরাফ শাবক।

সেটিসহ অন্য প্রাণীরা ভালো আছে, খাওয়া-দাওয়াও করছে ঠিক মতোই।

বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, দেশে গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ২০ হাজার পরিযায়ী পাখি কম এসেছে।

বাংলাদেশের এ বছর সব মিলিয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার পরিযায়ী পাখি প্রধান জলাভূমিতে এসেছে।

0 comments on “দেখা নেই পরিযায়ী পাখির এই শীতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *