দাম নিয়ন্ত্রনে সরকার এবার ডিম আমদানি করতে চায়। প্রাথমিক ভাবে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বানিজ্য মন্ত্রালয়।ডিমের দাম ১২ টাকা রাখার জন্য তাড়াহুড়ো করে আমদানির নির্দেশ।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি এক কোটি করে ডিম আমদানি করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দেশের বাজারে ডিমের দাম কমিয়ে আনা। সেজন্য আমদানির অনুমতি দেওয়া শুরু হয়েছে। ডিমের দাম না কমা পর্যন্ত আমরা এটা চালিয়ে যাবো।’
দেশে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার পর কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ডিম আমদানি করতে অনুমতি চেয়েছিল। বাণিজ্যমন্ত্রী এর আগে জানিয়েছিলেন যে বাজারে ডিমের দাম না কমলে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। গতকাল রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম আমদানির এই অনুমতি দেয়।
যে চারটি কোম্পানিকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তারা হলো মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিনটি পণ্যের দাম বেঁধে দেয়। এসব পণ্য হলো – ডিম, আলু ও দেশি পেঁয়াজ। প্রতিটি ডিমের বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ টাকা। তবে এই দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে না। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারীতে বেশি দামে কেনার কারণে তারা সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করতে পারছেন না।
ডিম আমদানি করার ক্ষেত্রে চারটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর প্রথমটি হলো, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে।
এ ছাড়া, নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না এবং সরকারের অন্যান্য বিধি–বিধান প্রতিপালন করতে হবে – এমন দুটো শর্তের কথা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, ঠিক কবে ডিম আমদানি হবে তা চার প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। কোন দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে, সেটিও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। আমদানিকারকেরাই ঠিক করবেন যে তারা কোন দেশ থেকে ডিম আমদানি করবেন।