Tuesday, 19 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

টাঙ্গাইলের বাসাইলে ভার্মি কম্পোস্ট জনপ্রিয় হচ্ছে দিনকে দিন


ভার্মি কম্পোস্ট এক প্রকার জৈব সার। টাঙ্গাইলের বাসাইলে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। দামে কম, কার্যকারিতা অধিক, পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী এ সার। যার কারণে টাঙ্গাইলের বাসাইলে ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহারে অনেক কৃষক আগ্রহী হচ্ছেন। প্রাকৃতিক উপায়ে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, গবাদিপশুর গোবর, শাক-সবজির উচ্ছিষ্ট, খোসা ও কচুরিপানার মিশ্রণে উৎপাদন করা হয় কেঁচো সার। এটি ভার্মি কম্পোস্ট সার নামে অধিক পরিচিত। বিভিন্ন রকম পচনশীল দ্রব্য দিয়ে তৈরি ভার্মি সার। এর ব্যবহারে জমির গুণগত মান ঠিক থাকে।

সাশ্রয়ী এ সার খুব উপকারী

উপজেলার নর্থখোলা গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম।

আরো পড়ুন
দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে চমক দেখালেন কৃষক মুক্তার

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কৃষক মুক্তার হোসেন মোল্যা দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে উদ্ভাবনী সাফল্য দেখিয়েছেন। সালথা উপজেলা পাট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত Read more

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে
স্বস্তি নেই সবজির বাজারে

রাজধানীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। একদিকে কিছু পণ্যের দাম কমলেও অন্যান্য অনেক পণ্যের দাম স্থিতিশীল Read more

তিনি জানান, এ সার খুব উপকারী।

তিনি নিজেও এ সার ব্যবহার করেন বলে জানান।

একইসাথে আশপাশে কৃষকের কাছে বাকি সার বিক্রি করেন।

তিনি জানান যে প্রথমে কৃষি অফিস থেকে ১০টি রিং আর কেঁচো পেয়েছিলেন।

এরপর এর চাহিদা দেখে নিজ খরচে উদ্যোগী হয়ে আরও ৮টি রিং তিনি বসিয়েছেন।

উপজেলার দাপনজোর গ্রামের ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী কৃষক হোসেন আলী।

তিনি বলেন, ৫০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করা যায় একটি রিং এ।

কেঁচো, পচা গোবর, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, তরকারির খোসা ও কচুরিপানা প্রয়োজন হয় সার তৈরিতে।

সব উপকরণ যদি পাওয়া না যায় তাহলে কেঁচো, কলার খোসা ও পচা গোবর দিয়ে এ সার তৈরি করা যায়।

তিনি জানান যে, কৃষি অফিস থেকে ১০টি রিং আর কেঁচো পেয়েছিলেন। এখন তার কাছে রয়েছে ২৫টি রিং।

এ সারের যে উপকার তিনি দেখেছেন তাতে তিনি আরও রিং বাড়াবেন বলেও জানান।

বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান।

তিনি জানান, ৫০ কেজি সার উৎপাদন করতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে।

৩০ শতক জমিতে ৫০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করা যায়।

ভার্মি কম্পোস্ট তৈরিতে তেমন খরচ হয় না। যার কারণে কৃষকরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

বাসাইল উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নাজনিন আক্তার।

এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, তারা উপজেলা থেকে বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন করছেন।

এর মাধ্যমে কৃষকদের ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির উপকরণ দিয়েছেন তারা বিনামূল্যে।

এ সারের উপকারিতা প্রচুর। তাই দেখে দিন দিন কৃষকরা নিজ খরচেই এ সার তৈরি করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

0 comments on “টাঙ্গাইলের বাসাইলে ভার্মি কম্পোস্ট জনপ্রিয় হচ্ছে দিনকে দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা