কদিন আগেই হয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। যতটা ভয়ংকর রূপে তৈরি হয়েছিল ততটা ভয়ংকর রূপে আঘাত হানেনি জাওয়া্দ। কিন্তু জাওয়াদের এই প্রভাব যথেষ্ট ক্ষতি করে গেছে আমাদের কৃষির উপরে। অসময়ের এমন বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজি সহ নষ্ট হয়েছে ধানের ক্ষেতও। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় সারাদেশেই। ধান গাছ নুয়ে পড়েছে বিভিন্ন স্থানে। জাওয়াদে আমন ধানের ক্ষতি নিয়ে বেশ চিন্তিত কৃষি বিভাগ।
কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে প্রবল বর্ষণ হয়েছে সারা দেশে।
কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
এই জলাবদ্ধতার দরুন ধান গাছ পচে যাবার আশংকাও করছে কৃষকেরা।
দেশের প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
জাওয়াদে মোট ক্ষতিগ্রস্ত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলা।
এর মধ্যে রয়েছে যশোর অঞ্চলের ছয় জেলার ৯৪ হাজার ৫৩৮ হেক্টর।
অন্যদিকে বরিশাল অঞ্চলের চার জেলায় ৩৮ হাজার ৪২৯ হেক্টর আবাদি জমির আমন ধান বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সব মিলিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলায় আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে।
সব মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৬৭ হেক্টর জমিতে আবাদি আমন ধানের সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
যশোর অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত যে সকল জেলা সমূহ রয়েছে সেগুলো হল- যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা।
অন্যদিকে বরিশাল অঞ্চলের জেলা সমূহের মধ্যে যেগুলো রয়েছে তা হলো- বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও পটুয়াখালী।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে যে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে এটিই চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নয়।
ঘূর্ণিঝড়সৃষ্ট অকাল বর্ষণে আমনের চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির হিসাব শিগগিরই নির্ধারণ করা হবে।
এ লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আমন মৌসুমে ৫৮ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছিল।
সেখান থেকে সরকার প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ৪৬ হাজার টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়।
কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সেগুলোতেও ব্যপক আকারে ক্ষতি হয়েছে।
তবে এত ক্ষয় ক্ষতির পরেও কৃষি বিভাগ আশাবাদী বলে জানা গেছে।