Monday, 08 December, 2025

ক্রেতাবিহীন নার্সারিতেই চারার ঠিকানা


যে কোণায় তাকানো যায় দেখা যাবে টবে বেড়ে উঠেছে বিভিন্ন  রকম  গাছের চারা। ফুল, ফল, বনজ বা ঔষধি কি নেই। সবই আছে কিন্তু শুধু নেই ক্রেতা। আর তাই ক্রেতাবিহীন নার্সারিতেই চারার ঠিকানা, পড়ে রয়েছে। দিনাজপুর সদর ঈদগাহ সংলগ্ন বস্তি এলাকার এক নার্সারিতে দেখা যায় এ চিত্র।

নার্সারিতে  গিয়ে দেখা যায় ছোট–বড় টব এবং  প্লাস্টিকের বস্তায়  কমলা, মাল্টা, আম,  লেবু, পেয়ারা, করমচা সহ আরও বেশিকিছু চারাগাছ। কিছু কিছু গাছে গাছে ধরেছে ফল । সেই ফলের ভারে  নুয়ে পড়েছে গাছের ডালগুলো। ফুল ধরেছে ফুলের চারাগাছ গুলোতেও। সে গোলাপ, রঙ্গন, জবা, বা মালতির চারাগাছ যাই হোক। মনে প্রশান্তি সঞ্চারণা করা দৃশ্য হলেও মালিকদের অনুভূতিই কেবল হতাশায় ভরপুর।

আরো পড়ুন
টানা তিন মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু: দাম কমার প্রত্যাশা
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর (Hili Land Port) দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ (Indian Onion Import) আমদানি শুরু হয়েছে

দীর্ঘ তিন মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর (Hili Land Port) দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ (Indian Read more

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নিশ্চিত করতে হবে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নিশ্চিত করতে হবে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিশ্চিত করতে সকলকে একসাথে Read more

শুধু ঈদগাহ সংলগ্নই নয়, এ চিত্র দেখা গেছে গোটা দিনাজপুর শহরেই। ক্রেতার অভাবে নার্সারির  চারাগাছ গুলো  বিক্রি হচ্ছে না। আয় সংকটে বিপাকে পড়েছেন নার্সারির মালিকেরা। তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে বছরে চারা বিক্রির দুটি মৌসুম দেখা যায়। তাদের একটি নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ফুল গাছের। আবার আরেকটি  জুন মাস থেকে আগস্ট মাস অবধি ফল গাছের। এ দুটি মৌসুমে  চারা বেশি বিক্রি হলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতির  বিধিনিষেধে বিক্রি এখন অর্ধেকের অনেক নিচে। তাছাড়া বৃক্ষমেলার আয়োজন হবার সম্ভাবনাও নেই।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে তথ্য অনুসারে,  জেলায় মোট নার্সারির সংখ্যা ২০২টি। ১৩টি কৃষি বিভাগের সরকারি নার্সারি। অন্যগুলো ব্যক্তিমালিকানায়। ফুল-ফল-বনজ ও ঔষধি চারাগাছ মিলিয়ে প্রায়  ৩০ লাখের বেশি চারগাছ রয়েছে। বন বিভাগ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বন বিভাগের নিজস্ব ১৫টি নার্সারি রয়েছে । যেখানে  চারাগাছ আছে৩ লাখের বেশি। বছর কয়েক  আগেও এ জেলায় ব্যক্তিমালিকানাধীন নার্সারির সংখ্যা ছিল ৪২৭টি, যা দিনে দিনে কমেছে।

দেশি গাছের পাশাপাশি, সিডলেস কুল, ড্রাগন, থাই পেয়ারা, আপেল, ভিয়েতনামি মাল্টা, রেড লেডি পেঁপেসহ সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি চারাগাছ সম্বলিত নার্সারির মালিক প্রকাশ করেন হতাশা। তিনি জানান করোনার কারণে তেমন বিক্রয় হয় না এখন। এর আগের বছর বৃক্ষমেলার জন্য প্রস্তুতি নিলেও শেষ অবধি মেলা হয়নি আর এবারও হবে না। তিনি জানান বছরে অন্তত ১০ লাখ টাকার চারাগাছ বিক্রি করতেন। কিন্তু গত দুই বছর তার অর্ধেকও বিক্রি করতে পারেননি।

পৌরসভা কার্যালয়–সংলগ্ন নার্সারির মালিক জানান ২৫ হাজারের বেশি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গাছ রয়েঝে তার। সেগুলো বিক্রি করতে না পারলে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন তিনি। তাছাড় এত চারাগাছের যত্ন নিতেও যথেষ্ট খরচ করতে হয়।

0 comments on “ক্রেতাবিহীন নার্সারিতেই চারার ঠিকানা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ