Thursday, 21 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

আলুর বাজারে ধস নেমেছে


আলুর বাজার দর

আলুর বাজারে ধস নেমেছে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়। হিমাগারে আলু মজুত করা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা আলুর দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু পাইকারি ৭-৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর ২০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হয়েছিল। আলুর বাজারে ধস নেমেছে জেলার প্রায় সকল উপজেলাতেই।

দাউদকান্দিতে অন্যান্য বছর নভেম্বর মাসের শুরু থেকে হিমাগারে মজুত করা আলু বাজারে বিক্রি করা হত।

এতে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বেশ লাভবান হতেন।

আরো পড়ুন
দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে চমক দেখালেন কৃষক মুক্তার

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কৃষক মুক্তার হোসেন মোল্যা দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে উদ্ভাবনী সাফল্য দেখিয়েছেন। সালথা উপজেলা পাট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত Read more

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে
স্বস্তি নেই সবজির বাজারে

রাজধানীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। একদিকে কিছু পণ্যের দাম কমলেও অন্যান্য অনেক পণ্যের দাম স্থিতিশীল Read more

উৎপাদনের তুলনায় ফলন বেশি হবার কারণে দর পড়ে গেছে

এ বছর আলু উৎপাদন চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় ও সংরক্ষণ করার কারণে আলুর বাজার পড়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।

কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর ফলন ভালো হয়েছে এবার।

যার কারণে চাহিদার তুলনায় বেশি আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়।

করোনাকালে কঠোর বিধিনিষেধে প্রায় সব কিছুই বন্ধ ছিল।

যেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কওমি মাদ্রাসার লিল্লাহ বোর্ডিং, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল ও হোটেল-রেস্তোরাঁ ইত্যাদি।

এসব বন্ধ থাকার কারণ ছাড়াও এবার বিদেশে রপ্তানি করা যায়নি আলু।

যার দরুণ হিমাগারে সংরক্ষিত আলু কোনভাবেই বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।

এতে আলু ও হিমাগার ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কুমিল্লা ফুড অ্যান্ড অ্যালাইড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবদুস সালাম।

তিনি জানান যে, তাঁদের হিমাগারে ১ লাখ ৮০ হাজার বস্তা আলু রাখার ব্যবস্থা আছে।

চলতি বছর আলুর দাম কমে গেছে।

এর কারণে হিমাগারের মালিকেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যদি আলুর দাম বর্তমানের চেয়ে আরও কমে যায় তাহলে অনেক ব্যবসায়ী হিমাগারের ভাড়া দিয়ে আলু উত্তোলন করবেন না।

যার জন্য হিমগারের মালিকেরা স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

সরকার আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজের অফিস সহকারী খোকন খন্দকার।

তিনি বলেন, চলতি বছর আলুর দাম কম হবার কারণে হিমাগারের মালিকেরাও চিন্তিত।

সময়মতো আলু বের করছেন না অনেক ব্যবসায়ী।

এতে হিমাগারের মালিকেরা বিদ্যুৎ বিলের হিসাবে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জামান।

তিনি জানান, দাউদকান্দিতে গত বছর ৫ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়।

এর আগের বছর ৪ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল আলুর।

ফলন ভালো হলেও, আবাদ বেশি এবং করোনায় বিধিনিষেধের কারণে কমে গেছে আলুর দাম।

এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আলু ব্যবসায়ীরা।

0 comments on “আলুর বাজারে ধস নেমেছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা