Friday, 17 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

ভাদ্র মাসের কৃষি ব্যবস্থাপনা জেনে নিন: পর্ব-০১


কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশ। কৃষকদের সাথে সাথে বর্তমানে দেশের অনেকেই এখন কৃষির সাথে জড়িত। সেক্ষেত্রে অনেকেই কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। এখন ভাদ্র মাস, তার উপর অনাকাংখিত বৃষ্টি। এই বৃষ্টির দরুন হতে পারে অনেক ক্ষতি। তাই ভাদ্র মাসের কৃষি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে খুব সতর্ক থাকতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ভাদ্র মাসের কৃষি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে।

আমন ধান পরিচর্যা

    আরো পড়ুন
    বায়োফ্লকের পানি তৈরি করার পদ্ধতি বা নিয়ম
    বায়োফ্লক ট্যাংক

    বায়োফ্লকে পানি তৈরি বায়োফ্লক মাছ চাষের অন্যতম প্রধান কাজ। বায়োফ্লক শুধুমাত্র ফ্লক তৈরি করতে না পেরে অনেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। Read more

    চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা
    চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা

    তীব্র তাপপ্রবাহ হাঁস- মুরগি ও গবাদিপ্রাণির দেহে নানা ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পীড়ন (স্ট্রেস) তৈরি করে, ফলে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপ্রাণির Read more

  • এই সময় অন্তর্বর্তীকালীন যত্ন নিতে হবে আমন ধান ক্ষেতের;
  • ক্ষেতে আগাছা জন্মালে তা নিয়মিত ও সাবধানে পরিষ্কার করতে হবে।
  • ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে আগাছা পরিষ্কার করা হয়ে গেলে। প্রতি হেক্টর জমিতে ২০০ কেজি ইউরিয়া সার প্রয়োজন হবে। এ সার তিন ভাগ করে প্রয়োগ করতে হয়। প্রথম ভাগ চারা লাগানোর ১৫-২০ দিন পর। দ্বিতীয় ভাগ চারা লাগানোর ৩০-৪০ দিন পর এবং তৃতীয় ভাগ চারা লাগানোর ৫০-৬০ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে।
  • নিচু জমি থেকে যদি পানি নেমে যায় তবে এখনও আমন ধান রোপণ করা যাবে। বিআর ২২, বিআর ২৩, ব্রি ধান৩৮, ব্রি ধান৪৬, বিনাশাইল, নাইজারশাইল বা স্থানীয় উন্নত ধান বেশ উপযোগী দেরিতে রোপণের জন্য । প্রতি গুছিতে ৫-৭টি চারা দিয়ে ঘন করে রোপণ করতে হবে।
  • মাজরা, পামরি, চুঙ্গি, গলমাছি পোকার আক্রমণ হতে পারে এ সময়ে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার রোগ দেখা দিতে পারে যেমন খোলপড়া, পাতায় দাগপড়া রোগ। নিয়মিত জমি পরিদর্শন করতে হবে। আলোর ফাঁদ পেতে, হাতজাল দিয়ে পোকা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সঠিক বালাইনাশক সঠিক মাত্রায়, সঠিক নিয়মে, সঠিক সময় ব্যবহার করতে হবে।

পাট চাষে পরিচর্যা

  • বন্যায় তোষা পাটের বেশ ক্ষতি হয় যাতে ফলনের সঙ্গে সঙ্গে বীজ উৎপাদনেও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। বীজ উৎপাদনের জন্য ভাদ্রের শেষ পর্যন্ত দেশি পাট রাখা হয়। আশ্বিনের মাঝামাঝি পর্যন্ত তোষা পাটের বীজ বোনা যাবে।
  • বন্যার পানি উঠে না এমন সুনিষ্কাশিত উঁচু জমিতে প্রতি শতাংশে লাইনে বুনলে ১০ গ্রাম আর ছিটিয়ে বুনলে ১৬ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়।
  • শতকপ্রতি ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৬৫০ গ্রাম টিএসপি, ৮০ গ্রাম এমওপি সার দিতে হয়। পরবর্তীতে শতাংশ প্রতি ইউরিয়া ৩০০ গ্রাম করে দুই কিস্তিতে দিতে হবে। বীজ গজানোর ১৫-২০ দিন পরপর জমিতে দিতে হবে।

আখ চাষে পরিচর্যা

  • আখ ফসলে এ সময় দেখা দিতে পারে লালপচা রোগ।
  • লালপচা রোগের আক্রমণ হলে আখের কাণ্ড পচে যায়। সেই সাথে হলদে হয়ে শুকিয়ে যেতে থাকে। আক্রান্ত আখ তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে এবং যাতে পানি না জমে খেয়াল রাখতে হবে।
  • রোগমুক্ত বীজ বা শোধন করা বীজ ব্যবহার করতে হবে। রোগ প্রতিরোধী জাত চাষ করলে লালপচা রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • লালপচা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন আখের জাত ঈশ্বরদী ১৬, ২০, ২১।

0 comments on “ভাদ্র মাসের কৃষি ব্যবস্থাপনা জেনে নিন: পর্ব-০১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *