Thursday, 16 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

পাগলা ঘোড়ার পিঠে দ্রব্য মূল্য, নিয়ন্ত্রন নেই।


সারাদেশে পাইকার সিন্ডিকেটের দৌড়াত্ব বেড়েছে

পাগলা ঘোড়ার পিঠে দ্রব্য মূল্য, নিয়ন্ত্রন নেই। রাজধানীসহ সারাদেশে অধিকাংশ নিত্যপন্যের বেড়েই চলছে এতে ক্রেতারা হতাশ হয়ে পড়েছে। এবার সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মাছ মাংস ডিম ও পেঁয়াজের দাম।

মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষেরা সংসার চালাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে। লাগামহীনভাবে বাড়ছে মাছের দামও। সবচেয়ে কম দামে এখন বিক্রি হচ্ছে চাপিলা মাছ। এর কেজিও দেড়শ টাকার নিচে নয়। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে ডিমের ডজনের দাম আবারও দেড়শ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। ডিমের হালি ৫০ টাকার নিচে মিলছে না।

মাছের বাজারের মুল্য তালিকা

আরো পড়ুন
বায়োফ্লকের পানি তৈরি করার পদ্ধতি বা নিয়ম
বায়োফ্লক ট্যাংক

বায়োফ্লকে পানি তৈরি বায়োফ্লক মাছ চাষের অন্যতম প্রধান কাজ। বায়োফ্লক শুধুমাত্র ফ্লক তৈরি করতে না পেরে অনেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। Read more

চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা
চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা

তীব্র তাপপ্রবাহ হাঁস- মুরগি ও গবাদিপ্রাণির দেহে নানা ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পীড়ন (স্ট্রেস) তৈরি করে, ফলে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপ্রাণির Read more

গতকাল  রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট আকারে রুই মাছ বিক্রিয় হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা যা গত মাসেও বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। মাঝারি সাইজের রুই মাছের কেজি ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা। যা গত মাসেও বিক্রি হয়েছিল ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। মাছ যত বড় হয়, তার দামও তত বাড়তে থাকে। পাবদা মাছ সর্বনিম্ন সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে আকার ভেদে ৬০০ টাকা কেজি। বেলে মাছ সাড়ে ৭০০ টাকা কেজি। টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া চিংড়ি ৪০০ থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

কাচা বাজারের মূল্য তালিকা

বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটোর দাম ১৪০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, এক হালি কাঁচা কলার দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ছোট এক টুকরো মিষ্টি কুমড়োর দামও ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজিতে ২০ টাকা কমে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে , আলু ৩০ টাকা। তবে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ ও আদা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। আগে খোলা চিনির কেজি ছিল ৯০ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। আগে প্যাকেট চিনি কেজি ছিল ৯৫ টাকায়। দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডালের কেজি ১১০, লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।

তবে বেড়েছে ডিমের দাম। ডজন প্রতি পাইকারি ১৪৩ থেকে ১৪৫ ও খুচরা ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি।

এদিকে চালের দাম কমছে না প্রতিকেজি মিনিকেট ও বাশমতি নামের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৭০-৭৫ টাকায়। নাজিরশাইল চাল ইতোমধ্যে ৭৫-৮০ টাকা। এছাড়া খুচরা বাজারে বিআর ২৮ জাতের চাল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকায়।

বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলছে তাদের কিনতেই বেশি খরচ করতে হচ্ছে তার উপর রয়েছে বেশি গাড়ি ভাড়া।

0 comments on “পাগলা ঘোড়ার পিঠে দ্রব্য মূল্য, নিয়ন্ত্রন নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *