কাদা মাটিতে রসুনের চাষ শুরু করেছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের কৃষকেরা। ভালো ফলন পাওয়ায় আবারও রসুনের চাষ শুরু করেছে উপজেলার কিছু কৃষক। তবে এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোন নির্দেশনা নেই বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
জানা যায়, উপজেলার অধিকাংশ কৃষি জমি থেকে চলিত বছর বর্ষা মৌসুমের পানি এখনো নামেনি। ফলে কৃষকেরা আলু, টমেটো, সরিষা, রসুন, পেঁয়াজ চাষ শুরু করতে পারেনি। দেরিতে পানি নামার কারনে বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছে মাত্র এ সকল কৃষক। কিছু কৃষক স্যাঁতস্যাঁতে জমিতে রসুনের চাষ শুরু করেছেন। এই জমিতে বীজ রোপনের আগে জমি তৈরি কিংবা নিড়ানি দিতে হয় না।
কৃষকেরা জানান, সাধারন রসুন কিংবা পেঁয়াজ চাষ করতে হলে মাটিকে একেবারে গুড়া করে জমি তৈরি করতে হয়। এর মধ্যে বীজ রসুন কোয়া হিসেবে সারিবদ্ধভাবে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে রসুনের বীজ রোপন করতে হয়। কিন্তু কাদা মাটিতে রসুন রোপন একেবারে উল্টা।
রসুন চাষকারী কৃষক আমির হোসেন জানান, জমিতে স্যাঁতস্যাতে কাদার মধ্যেই রসুনের বীজ নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে বীজের এক তৃতীয়াংশ চেপে বসিয়ে দিতে হবে। এর কয়েকদিন মধ্যেই জমির পানি শুকিয়ে স্যাঁতস্যাতে ভাবটা চলে যায় পাশাপাশি রসুন বীজ থেকে পাতা গজিয়ে উঠতে শুরু করে। এরই মধ্যে জমির মাটি শুকিয়ে গেলে রসুনের লাগানো বীজের লাইন ঠিক রেখে মাটিকে ছোট কোদালের মাধ্যমে টেনে নিয়ে সারি বা কেল তৈরি করে দিতে হবে। এই কেল করতে গিয়ে রসুনের বীজ পুরোপুরি মাটিতে ঢেকে যাবে। এর পরেই স্বাভাবিক পরিচর্ষা করলে রসুন আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রসুন চাষ করলে প্রথমে জমি তৈরির কোন খরচ লাগাবে না পাশাপাশি ফলনটা বেশ ভালো ও পুষ্ট হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুর রহমান জানান, কৃষি জমি থেকে দেরিতে পানি নামলে নির্দিষ্ট সময় কৃষক এভাবেই মসলা চাষ করলে ভালো ফলন পাবে। তবে আগ্রহী কৃষকরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা তাদেরকে এ বিষয়ে পরামর্শ দেব।