কামরাঙ্গা ফলে কোন ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায় ? টক ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত দু’ধরনের কামরাঙ্গা সাধারণত পাওয়া যায়। এতে ভিটামিন-এ অল্প পরিমাণে থাকলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকে।এতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ আম, আনারস ও আঙ্গুরের চেয়ে বেশি।
কামরাঙ্গায় আয়রনের পরিমাণ পাকা কাঁঠাল, পাকা পেঁপে, লিচু, কমলালেবু ও ডাবের পানির থেকেও বেশি। আবার কামরাঙ্গা দিয়ে জ্যাম, জেলি, চাটনি ইত্যাদি তৈরি করা যায়।
১। এতে থাকে এলজিক এসিড যা খাদ্যনালির (অন্ত্রের) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
২। এর পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
৩। পাকা ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।
৪। ফল ও পাতা গরম জলে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়।
৫। কামরাঙ্গা ত্বক মসৃণ করে।
৬। এর পাতা ও ডগার গুঁড়া খেলে জলবসন্ত ও বক্রকৃমি নিরাময় হয়।
৭। কামরাঙ্গা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠান্ডাজনিত (সর্দিকাশি) সমস্যা সহজেই ভালো হয়ে যায়।
৮। এর মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৯। কামরাঙ্গা ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়।
১০। পেটের ব্যথায় কামরাঙ্গা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
১১। শুকানো কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য খুবই উপকারী।
১২। ২ গ্রাম পরিমাণ শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়া জলের সঙ্গে রোজ একবার করে খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায়।
১৩) কামরাঙ্গা শীতল ও টক। তাই ঘাম, কফ ও বাতনাশক হিসেবে কাজ করে। তবে অধিক পরিমাণে কামরাঙা বা তার জুস খেলে ক্ষতির সম্ভাবনাও রয়েছে।