বর্তমানে শোল মাছটি বিলুপ্ত প্রায়। চাষের মাধ্যমে উৎপাদিত শোল মাছ বাজারে পাওয়া যায়। মাছের বাজার মুল্য বেশি প্রতি কেজি মাছের দাম প্রায় ৩০০টাকা। বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদন করতে গেলে শোল মাছ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে।
শোল মাছের পরিচিতিঃ
শোল (বৈজ্ঞানিক নাম: Channa striata) (ইংরেজি: snakehead murrel) হচ্ছে Channidae পরিবারের Channa গণের একটি স্বাদুপানির মাছ।
মা শোল মাছই নিজেদের মতো করে ডিম নার্সিং ও পোনা লালন করে। শত্রু মাছের কবল থেকে নিজেই ঠেকায়।
পুকুরে শোল মাছ চাষের ক্ষেত্রে প্রতি শতাংশে ২০ থেকে ৩০ টি শোল মাছের পোনা দেওয়া যেতে পারে। খাদ্যের গুনগত মানের উপর ভিত্তি করে শোল মাছ ৫ থেকে ৭ মাসে বিক্রয়ের উপযোগি হয়।
শোল মাছের পুকুর প্রস্তুতির কৌশল
এ মাছ যে কোন পুকুরেই চাষ করা সম্ভব। উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দিবার জন্য যে পুকুরে শোল মাছ চাষ করবেন সে পুকুরে কচুরি পানা ও কমলি লতা থাকতে হবে।
শোল মাছের পুকুরে কচুরিপান দিলে ভাল। খেয়াল রাখতে হবে কচুরি পানা যেন পুকুরে ভরে না যায় এজন্য পুকুরের তিন ভাগের এক ভাগ কচুরি পানা থাকবে।
শোল মাছের পুকুরের চার পাশে কমপক্ষে ৫ ফুট উচ্চতা করে জাল দিয়ে বেড়া দিতে হবে। কারন বর্ষার সময় শোল মাছ লাফ দিয়ে পুকুর থেকে বের হয়ে যেতে পারে।
পুকুরে শোল মাছের পোনা মজুত
অনেক ব্যানিজ্যিক হ্যাচারি শোল মাছের পোনা উৎপাদন করে বিক্রয় করছে। সে সকল হ্যাচারি থেকে শোল মাছের পোনা সংগ্রহ করা যেতে পারে। অনেক ভিয়েতনাম থেকে শোল মাছের ব্রুড নিয়ে পোনার উৎপাদন করছে। এ মাছ চাষ লাভবান হচ্ছে।
শোল মাছের বৈশাখ মাস প্রজনন মৌসুম শুরু হয়। বৈশাখ মাসের প্রথম দিকে বাচ্চা দিতে থাকে। সে সময়ে খাল-বিল, হাওড়-বাওড়, পুকুরে থেকে সপ্তাখানেক বয়সের বাচ্চা সংগ্রহ করে পুকুর বা চৌবাচ্চায় ছাড়তে হয়। প্রাকৃতিক ভাবে প্রাপ্ত শোল মাছের পোনা চাষে বেশি বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয় ।
এককভাবে প্রতি শতাংশে ১০টি দেয়া যেতে পারে। মিশ্র পদ্ধতিতে চাষের জন্য প্রতি শতাংশে ৪টি। একটি প্রাপ্ত বয়স্কে শোল মাছ ২.৫- ৩ ফিট পযন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
পোনা মাছের উপোযু্ক্ত খাদ্য
শোল মাছের পোনা মাছের প্রিয় খাদ্য শুঁটকির গুঁড়া। সেজন্য পোনা মাছকে খাবার হিসেবে চিংড়ি শুঁটকির গুঁড়া ভালোভাবে পিষে দিতে হয়। শুটকির গুড়া ১৫ দিন খাওয়ানোর পর পোনাগুলো প্রায় ২/৩ ইঞ্চি হবে।
পোনার সাইজ ২/৩ ইঞ্চি থেকে খাদ্য হিসেবে কার্পজাতীয় মাছের ধানীপোনা দেয়া যেতে পারে; সঙ্গে ছোট ছোট ব্যাঙ বা ব্যাঙাচি দেয়া যেতে পারে। পাশাপাশি বাজার থেকে উচ্চমানের প্রেটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিতে হবে।
শোল মাছ যখন বড় হয়ে যাবে তখন ছোট ছোট মাছ খেতে দিতে হবে। ৬ মাস বয়সে এক একটা শোল মাছের ওজন হবে ৭০০ থেকে ১০০০ গ্রাম পর্যন্ত।
খাবার খরচ কমানোর আরেক টা ব্যবস্থা হল শোল মাছে সাথে দেশি তেলাপিয়া মাছ চাষ করা। দেশি তেলাপিয়া মাছ প্রচুর পোনা দেয়। এ দেশি তেলাপিয়া মাছের পোনা শোল মাছের খাবার হিসাবে খরচ কমাবে।
শোল মাছের সম্ভাব্য রোগ বালাই
মাছের বিভিন্ন রোগ হতে পারে। তবে শোল মাছের সে ভাবে বেশি রোগ-বালাই দেখা যায় না। শীতকালে শোল মাছে ক্ষত রোগ দেখা যায়।
পুকুরে নিয়ম মাফিক চুন ও লবন প্রয়োগের মাধ্যমে পানির পরিবেশ তৈরি করে শোল মাছের রোগ বালাই কমানো যায়।
প্রতি মাসে পুকুরে ৩০০-৫০০ গ্রাম চুন এবং ১৫০-২০০ গ্রাম লবন প্রয়োগ করুন।মনে রাখবেন মাছ চাষে যত্রতত্র ঔষধ ব্যবহারে দুই ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে একদিকে আর্থিক ভাবে অন্য দিকে মাছের স্টের্স এর মাধ্যমে বৃদ্ধি কমিয়ে।
মাসুদুর রহমান
November 27, 2022 at 8:08 amবাণিজ্যিকভাবে শোল মাছ চাষ করলে প্রতি বিঘায় কতটি পোনা ছাড়া যাবে।
Md. Mominul Islam
August 24, 2021 at 12:30 pmভিয়েতনামি শোল মাছের পোনার দাম কত? আমি নেবো। ০১৭৭৫২৭২০২২
Mk huda
August 6, 2021 at 12:56 amAmi shamuk Chas Korte chai. Kivabe korbo
রফিকুল আমিন
July 4, 2021 at 7:58 pmশোল মাছের রেনুকে কি খইল খাওয়ানো যাবে ?
এগ্রোবিডি২৪
July 4, 2021 at 8:04 pmশুধু শোল মাছ নয় যেকোন মাছের রেনুকে খৈল খাওয়ানো যাবে। খৈল কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন তারপর মাছের রেনুকে দিতে পারবেন। মাছ চাষে সরাসরি খৈল ব্যবহার করা যায় না । মাছ চাষের পুকুরে গ্যাস থাকলে খৈল ব্যবহার না করাই ভাল।