চা আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়। সকল কিছুর চাষ কমলেও দেশে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন হয়েছে করোনাকালে। পরিসংখ্যান বলছে আগের সকল রেকর্ড ভেঙ্গেছে এই মৌসুমে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন ইশারা করছে বড় কোন সম্ভাবনার দিকে।
সমতল ও ক্ষুদ্র অঞ্চল থেকে যোগ হয়েছে উৎপাদন
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে সারা দেশের ১৬৭টি চা বাগানে ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার কেজি চা এর উৎপাদন হয়েছে।
২০২০ সালের চেয়ে এই উৎপাদন ১ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার কেজি বেশি।
এবার উত্তরাঞ্চলে সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকেও যুক্ত হয়েছে।
প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি চা জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে।
আগের বছরের তুলনায় যেটি ৪১ শতাংশ বেশি বলে জানায় সূত্র।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের এক প্রতিবেদনে গত বুধবার এসব তথ্য জানানো হয়।
চা বোর্ড জানায় অনুকূল আবহাওয়া, সরকারের আর্থিক প্রণোদনা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও চা বোর্ডের নিয়মিত তদারকি, বাগানমালিক ও শ্রমিকদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদিত হয়েছে বলে।
২০২১ সালের শুধু অক্টোবর মাসেই দেশে ১ কোটি ৪৫ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে বলে চা বোর্ড সূত্র হতে জানা যায়।
এক মাসে এত বিপুল পরিমাণ চা অতীতে আর কখনো উৎপাদিত হয়নি।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম (এনডিসি পিএসসি)।
তিনি বলেন, চা উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রতি বছর নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কোভিড পরিস্থিতিতেও গত বছর দেশের সব চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।
উৎপাদনের এ ধারাবাহিকতা থেকে এটাই প্রতিয়মান হয় যে চা শিল্পের সক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও জানান, উত্তরাঞ্চলে চা চাষীদের ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে চা আবাদ বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
একই সাথে আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করায় তারা এবার ৪১ শতাংশ বেশি চা উৎপাদন করেছে।
সারা দেশে ২০২০ সালে ৮ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল।
২০১৯ সালে সারা দেশে রেকর্ড পরিমাণ এ উৎপাদনের পরিমান ছিল ৯ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার কেজি চা।