কুমড়া জাতীয় সবজি স্কোয়াশ চাষে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন মাগুরা সদর উপজেলার ছোটফালিয়া গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন। চলতি মৌসুমে মাত্র ২৩ শতক জমিতে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে তিনি প্রায় ১ লাখ টাকা আয় করার আশা করছেন।
ইতিমধ্যে বাজারে এ সবজি বিক্রি করতে শুরু করেছেন তিনি। বর্তমানে প্রতি পিস স্কোয়াশ ২০ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি করছেন।
কৃষক জালাল উদ্দিন জানান, তিনি এক আত্মীয়ের কাছ থেকে স্কোয়াশের বীজ সংগ্রহ করেন। পরে গত বছর গ্রীষ্ম মৌসুমে এ সবজির চাষ করলেও তেমন লাভ আসেনি। তবে চলতি শীত মৌসুমে ফলন ভালো হয়েছে। এ সবজি চাষে স্থানীয় কৃষি বিভাগ তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে।
তিনি বলেন, এ সবজি দেখতে অনেকটা লম্বা বাঙ্গির মত ও সবুজ। এটির জীবনকাল প্রায় ৩ মাস। শীত মৌসুমে এ সবজি বপনের ৪০ দিনের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে। পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে খেতে ব্যবহার করেছেন ফেরোমন ট্রাপ। একারণে কীটনাশকের ব্যবহার তেমন প্রয়োজন হয় না।
এছাড়া মাটির রসে যাতে ফুল ও ফল নষ্ট না হয় সে জন্য জমিতে বেড তৈরি করে বেডের উপর পলিথিন দেয়া হয়েছে। সেচ ও বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি জমে যাতে ফসলের ক্ষতি না হয় সে জন্য নালা তৈরি করা হয়েছে। এতে করে খেতে পানি জমে না। সেই সাথে ফসলের পরিচর্যা করতে সুবিধা হয়। ফলনও ভালো হয়।
জালাল উদ্দিন বলেন, ২৩ শতক জমিতে গাছ রয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০টি। এটি চাষে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। যাবতীয় খরচ বাদে এ খেত থেকে তিনি প্রায় লক্ষাধিক টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু তালহা জানান, চাষাবাদের দিক দিয়ে স্কোয়াশ অনেকটাই নতুন ধরনের একটি সবজি। বাজারে এটির চাহিদা রয়েছে। ছোটফালিয়া গ্রামের জালাল উদ্দিন এ সবজির চাষ করে সফল হয়েছেন। আগামীতে এটির চাষ আরো বাড়বে বলে তিনি আশা করছেন।