করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্যসংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে সম্প্রতি ৪৩৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বাড়ির আঙিনা ও পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি-বাগান স্থাপন করা হবে। ফলে খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়বে।
শনিবার (১৩ মার্চ) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) কৃষিবিদ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বীজ, সার, সেচসহ কৃষি উপকরণের প্রাপ্তি ও বিতরণে বিএডিসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমাদের গবেষক ও বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে ফসলের অনেক উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। দ্রুত এসব জাতের বীজের উৎপাদন এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ করতে হবে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি; এখন নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে কাজ করছি। সেটি অর্জন করতে হলে কৃষিবিদদের আরও কঠোর ও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. নজরুল ইসলাম।
বিএডিসি কৃষিবিদ সমিতির সভাপতি রিপন কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চন্দ্র দে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় রায়। বীজ ও সার ব্যবস্থাপনায় বিএডিসির কৃষিবিদদের ভূমিকার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মো. আজিম উদ্দিন। সাধারণ সভায় সারাদেশে কর্মরত বিএডিসির তিন শতাধিক কৃষিবিদ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।