মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির কারনে বাড়ছে ভোক্তা পর্যায়ে সবজি ও পণ্যের দাম। যে শসা দিনাজপুরে ৪ টাকা কেজি সেই শসা ঢাকাতে ৪০ টাকা কেজি।
একসময় পথে পথে ট্রাক থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হতো। মাঝে টোকেন বা কার্ড দিয়ে পুরো মাসের চাঁদা তুলে নেওয়া হতো। সেই ‘টোকেন প্রথা’ বদলেছে।দেশ ডিজিটাল হয়েছে সাথে চাঁদা আদায়ের পদ্ধতি।
সড়ক–মহাসড়কে এখন চাঁদাবাজি হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মাসিক চুক্তির টাকা পরিশোধ করছেন ট্রাকমালিকেরা। পুলিশ ট্রাক আটকানোর পর মুঠোফোন নম্বরে ফোন দিলেই ট্রাক ছেড়ে দেওয়া হয়। কার্ড দিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর কার্ডের বদলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক চুক্তির টাকা নেওয়া হচ্ছে।
গত রোববার ১০ টনের একটি সবজির ট্রাকে দেখা যায় চাঁদা বাজির এই দৃশ্য। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান হাটের সবজির মোকাম থেকে ১৩ টন শসা, মুলা, বরবটি, পটোল ও করলা নিয়ে বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় ট্রাকটি। ২২০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ট্রাকটি পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে এসে থামে গত রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায়।
সাভারের আগপর্যন্ত দৃশ্যত কোনো চাঁদাবাজি দেখা যায়নি। সাভার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত একাধিক স্থানে রসিদ দিয়ে ট্রাক থেকে চাঁদা তুলতে দেখা গেছে।
এর আগে রাজশাহী থেকে সবজির ট্রাকে দেখা যায় চাঁদাবাজির কোন চিহ্ন নেই পরে খোজ নিলে যানা যা একই ডিজিটাল চাঁদার দৃশ্য।