Friday, 17 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

চার টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে হিমাগারের আলু


চার টাকা কেজি দরে আলু বিক্রয় হচ্ছে

এখনো মুন্সিগঞ্জের হিমাগারগুলোতে প্রচুর পরিমাণ আলু মজুত রয়েছে। এদিকে নতুন আলু বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এতে দিন দিন কমছে পুরোনো আলুর চাহিদা। চার টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও পাওয়া যাচ্ছে না ক্রেতা। দাম না থাকায় আলুর মালিকরাও হিমাগারে আসেন না আলু বিক্রি করতে। এতে হিমাগার মালিকরা বিপাকে পড়েছেন, চার টাকা কেজি দরে বিক্রয় করলেও আরো কম দামে ছাড়তে পারেন বলে জানাচ্ছেন কেউ কেউ।

আলুর মালিকরা আলু নিতে আসছেন না

হিমাগার মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আলু মালিকরা তাদেরকে দলিলগুলো দিয়ে যায়নি।

আরো পড়ুন
বায়োফ্লকের পানি তৈরি করার পদ্ধতি বা নিয়ম
বায়োফ্লক ট্যাংক

বায়োফ্লকে পানি তৈরি বায়োফ্লক মাছ চাষের অন্যতম প্রধান কাজ। বায়োফ্লক শুধুমাত্র ফ্লক তৈরি করতে না পেরে অনেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। Read more

চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা
চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা

তীব্র তাপপ্রবাহ হাঁস- মুরগি ও গবাদিপ্রাণির দেহে নানা ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পীড়ন (স্ট্রেস) তৈরি করে, ফলে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপ্রাণির Read more

তেমন হলে নামেমাত্র মূল্যে আলু বিক্রি করে হলেও তারা ভাড়ার টাকার আংশিক আদায় করতে পারতেন।

এছাড়া আলু রাখার সময় তাদের কাছ থেকে বস্তা প্রতি ঋণ নিয়েছেন আলু মালিকরা।

কিন্তু ঋণের সুদের টাকাতো দূরের কথা মূল টাকার থেকেও তারা কিছু অংশ দিলে তারা বাচতেন।

এতে তারা চাষিদের আলু দিয়ে দিত এবং আগামী বছরের জন্য আলু সংরক্ষণ করতে হিমাগারগুলো তারা প্রস্তুত করতে পারতো।

সরেজমিনে টঙ্গিবাড়ী ও মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা ঘুরে ঘুরে প্রতিটি হিমাগারের ভেতরে ও হিমাগারের পাশে পচা আলুর স্তূপ দেখা যায়।

হিমাগারগুলো থেকে বর্তমানে বের করা আলুগুলোতে লম্বা শিকর গজিয়েছে।

দীর্ঘদিন হিমাগারে সংরক্ষণের কারণে আলুর বস্তাগুলো পচে গেছে।

হিমাগারগুলো থেকে এ মৌসুমে নামেমাত্র আলু বের হচ্ছে।

তবে হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায় হিমাগারে এখনো প্রচুর পরিমাণ আলু মজুত রয়েছে।

খরচ বেশি দাম কম

বর্তমানে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪-৫ টাকা কেজি দরে।

গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ৬-৭টাকা।

এক বস্তা আলু ২০০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অথচ হিমাগার ভাড়া ৩০০ টাকা দরে।

এক কেজি আলুর দাম হিমাগার ভাড়া ও উৎপাদন খরচসহ পড়ে ১৮-২০ টাকা।

এদিকে এ বছর আলু রোপণ মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিতে বীজ পচে যায়।

এতে আলু চাষিদের ১৫৫ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে মুন্সিগঞ্জ জেলার।

এদিকে কৃষকরা হিমাগারে রক্ষিত আলুর দাম পাননি।

এতে তারা ধার-দেনা করে পুনরায় আলুর চাষ করেছেন।

আলু চাষ বিলম্বিত হওয়ায় আলু পরিপক্ক হতে যে সময় প্রয়োজন হয় তা পাচ্ছেন না আলুগুলো।

সে সময় না পাওয়ায় সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন এ বছর আলু উৎপাদন অনেক কম হবে।

মুন্সিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র জানায়, গত বছর জেলায় আলু চাষ করা হয়েছিল ৩৭ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে।

তখন আলুর উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ১৩ লাখ মেট্রিক টন।

এর মধ্যে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন আলু কৃষকরা হিমাগারে সংরক্ষণ করেছেন।

মুন্সিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, গত বছর চাহিদার তুলনায় আলুর উৎপাদন বেশি হয়েছিল।

আলুর বিকল্প ব্যবহার না বাড়ার কারণে আলুর এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান যে, বৃষ্টিতে এ বছর ১৫৫ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে মুন্সিগঞ্জের আলুচাষিদের।

এতে এ বছরে আলুর উৎপাদন অনেকটা কম হবে বলে তার ধারণা।

0 comments on “চার টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে হিমাগারের আলু

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *