বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই বোর্ড রুমে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ, বাজার পরিস্থিতি ও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভা হয়।
মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন” আমদানি করার পরও দুবাইয়ে গরুর মাংসের কেজি ৫০০ টাকা, তাহলে আমাদের কেন ৭৫০ টাকায় কিনতে হবে? এ অবস্থা চলতে থাকলে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসের দাম কমাতে সরকার আমদানির উদ্যোগ নেবেন।’
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্রয়লার মুরগি এখন ২৮০ টাকা। এখন যদি সরকার মনে করে আমদানি করলে দাম কম পড়বে, তাহলে আমদানি করবে।
তিনি বলেন, দুবাইয়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা। কিন্তু দুবাইয়ে গরু উৎপাদন হয় না। তারা আমদানি করে যদি ৫০০ টাকা দিতে পারে তাহলে আমারা উৎপাদন করে কেন এত দামে কিনবো।
এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, এখন গরু ও পোল্ট্রির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। দেশীয় এ খাত বাঁচাতে এতদিন মাংস আমদানি বন্ধ ছিল। এখন যদি তারা সঠিক মূল্যে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগি দিতে না পারে তাহলে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলবো, বাজার ঠিক রাখতে আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য। আমদানি করলে যদি বাজারে দাম কমে যায়, তাহলে আমদানি করতে হবে। মানুষ যদি ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে না পারে, তাহলে ইন্ডাস্ট্রির কথা চিন্তা করে লাভ নেই।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এবার চাহিদার তুলনায় বেশি খেজুর আমদানি করা হয়েছে। শুধু খেজুর নয়, চিনি ও ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যও পর্যাপ্ত রয়েছে।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, এম এ মোমেন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও নিত্যপণ্যের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতাসহ বাজার কমিটির সভাপতিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।