Tuesday, 18 November, 2025

সুনামগঞ্জ ৫ শতাধিক গরু ক্ষুরারোগে আক্রান্ত


সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ক্ষুরারোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে অন্তত ৫ শতাধিক গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে রোগ প্রতিরোধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

জানা গেছে,উপজেলার কৃষ্ণনগর, বাণীপুর, কোনাগাঁও, নলুয়া, ঢালাগাঁও, বেরীগাঁও, বাঘমারা প্রভৃতি গ্রামের দেশি বিদেশি গরুর মধ্যে ক্ষুরারোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত গরুর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে ইতোমধ্যে অন্তত ৫ শতাধিক গরু আক্রান্ত হয়েছে।

আরো পড়ুন
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: সময়সূচি প্রকাশ

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। পরীক্ষার তারিখ: ২০২৬ সালের Read more

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের চিংড়ি রপ্তানি: সংকটের পর আশা!

টানা দুই বছর নিম্নমুখী থাকার পর অবশেষে দেশের হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। একসময় প্রায় খাদের কিনারায় Read more

কৃষ্ণনগর গ্রামের খামারি আব্দুল বারিক জানান, ৭টি গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণিসম্পদের কোনো লোক আসেন না। গরু ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হওয়ায় ঝুঁকিতে আছেন তিনি।

এছাড়াও একই গ্রামের আব্দুল মতিনের ৮টি গরু, আবু হানিফার ৫টি গরু, জামাল মিয়ার ৪টি, আবু আহমদের ৩টি, আব্দুস ছালামের ২টি, ইমান হোসেনের ৪টি, আব্দুল আওয়ালের ৫টি, তুতা মিয়ার ২টি, আব্দুর রশিদের ৬টি, মুজিবুর রহমানের ৪টি, আব্দুল করিমের ৩টি, মিজান মিয়ার ৪টি, মকসুদ আলীর ২টি গরুসহ আরও অনেকের আক্রান্ত গরু রয়েছে।

বাঘমারা গ্রামের মতিউর রহমান বলেন, প্রায় ২০ দিন আগে থেকে ভয়াবহ আকারে এই ক্ষুরারোগ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মো. রৌশন ইসলাম বলেন, এলাকায় অনেক গরু ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়েছে। আমি ক্ষুরারোগ প্রতিরোধে দ্রুত চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা. মো. আশাদুজ্জামান বলেন, সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে গরু ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই বিষয়ে জেনেছি। আমি দ্রুত চিকিৎসা দেয়ার জন্য সরেজমিনে লোক পাঠিয়ে দেব।

0 comments on “সুনামগঞ্জ ৫ শতাধিক গরু ক্ষুরারোগে আক্রান্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ