নীলফামারীতে বাজারে মুলা প্রতি কেজি ২ টাকা, ফুলকপি প্রতি কেজি ৫ টাকা ও পাতাকপি প্রতি কেজি ৩-৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে শীতকালীন সবজি চাষ করে ন্যায্য মূল্য না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
এবছর উৎপাদিত সবজির মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, লাউ, বেগুন, গাঁজর, শিম সহ নানা ধরনের সবজি। এসব সবজি জেলার স্থানীয় বাজারগুলোর চাহিদা পূরণ করে এক সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হতো। কিন্ত এবার তা ভিন্ন রূপ নিয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। আর এ যাবত অর্জিত জমির পরিমাণ ২ হাজার ৫৬৫ হেক্টর। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ২৪ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, শীতের সবজি এবার আমরা পানির দরে বিক্রি করছি। তারা বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষক তো আরো কম দামে আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন। এবারে সবজি চাষে কৃষক লোকসান ছাড়া লাভের মুখ কেউ দেখতে পাবেনা।
তারা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জায়গায় জায়গায় মুলা, বেগুন, ফুল কপি, বাঁধাকপি যথেষ্ঠ আবাদ হয়েছে। কার সবজি কে খায় এমন অবস্থা। তাই এর প্রভাব পড়েছে কৃষক পর্যায়ে। তবে আলুর দাম বেশ চড়া। পুরাতন আলু বাজারে নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বার বার বৃষ্টির কারণে নতুন আলুর উৎপাদন কম। তাই এখনও নতুন আলু ৬০ টাকায় কিনে খেতে হচ্ছে।
সৈয়দপুরের সবজি চাষি আতিকুল ইসলাম জানান, দেশের অন্য জেলায় সবজির চাহিদা না থাকায় স্থানীয় কৃষকরা কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এ কারণে সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। স্থানীয় বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে তা দিয়ে উৎপাদিত ফসলের খরচের অর্ধেকও উঠে আসবে না বলে জানান তারা।