মাছভেদে এক কেজি শুঁটকি তৈরিতে প্রজাতিভেদে আড়াই থেকে চার কেজি মাছ প্রয়োজন হয়। দেশে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে রুপচাঁদা, ফাইস্যা, ছুরি, সুরমা, লইট্টা, চিংড়ি, ইলিশ, চাপিলা ইত্যাদি মাছের শুঁটকি হয়ে থাকে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে কাঁচা মাছের দাম বেড়েছে। আর এর প্রভাবে বেড়েছে শুঁটকির দামও। দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে শুঁটকি রপ্তানিতে প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।
আসাদগঞ্জের শুঁটকির আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশ থেকে রপ্তানি হওয়া শুঁটকির ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই সরবরাহ করা হয় আসাদগঞ্জ থেকে। আস্ত শুঁটকির পাশাপাশি রপ্তানি হয় মাছের বিভিন্ন অংশবিশেষ কেটে তৈরি করা শুঁটকিও। এর মধ্যে রয়েছে লেজ, পাখনা ও অন্ত্র। এসব শুঁটকি আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
আসাদগঞ্জের ব্যবসায়ীদের মতে, অনেক জেলেই মাছ ধরা ছেড়ে অন্য কাজ করছেন। পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হওয়ার কারণে শুঁটকি করার চেয়ে কাঁচ মাছ বিক্রি করাকে লাভজনক ভাবছেন জেলেরা। ফলে শুঁটকির জন্য ভারত ও মিয়ানমার থেকে মাছ আমদানি হয়। তাতেই দাম বেড়ে যায়।
১৯৯৯ সাল থেকে শুঁটকি রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত চট্টগ্রামের আরডিএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আজিজ উল্লাহ বলেন, আশপাশের দেশগুলোতে শুঁটকির দাম কম। ফলে বাংলাদেশ থেকে শুঁটকি রপ্তানি কমেছে। দেশে কাঁচা মাছের দাম বেশি হওয়ায় শুঁটকির দামও বেশি। তবে গুণগত মানের কারণে দেশীয় শুঁটকির চাহিদা রয়েছে বিদেশে।