Friday, 14 March, 2025

সর্বাধিক পঠিত

সৌন্দর্যবর্ধক জবা ফুলের ভেষজগুন এবং ব্যবহার


আমাদের অত্যন্ত পরিচিত এবং পছন্দের ফুল জবা। আমাদের বাড়ির আঙিনায় বা আনাচে-কানাচে অথবা ছাদে দেখা মেলে উজ্জ্বল লাল রঙের এই ফুলটিকে। জবা ফুলের কদর যদিও সবাই বোঝে না তবুও একনজর দেখলে মন কেড়ে নেয়। মন কেড়ে নেয়া এই জবা ফুলের কয়েক শ প্রজাতি রয়েছে।  এদের মধ্যে অন্যতম একটি পঞ্চমুখী জবা, যেটি বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখা যায়। একই রকম মনে হলেও সাধারণ জবা থেকে বেশ আলাদা এই ফুল। দেখে মনে হবে একটি নয় বরং কয়েকটি জবা একসঙ্গে এক হয়ে আছে!

মালভেসি গোত্রের চিরসবুজ পুষ্পধারী গুল্ম হচ্ছে জবা। জবার উত্পত্তি পূর্ব এশিয়ায়, যা ‘চীনা গোলাপ’ নামেও পরিচিত। দ্বিপদ নামকরণের জনক বিজ্ঞানী ক্যারলাস লিনেয়াস জবা ফুলের নাম দেন হিবিস্কাস রোসা-সিনেন্সিস। ‘রোসা সিনেন্সিস’-এর অর্থ ‘চীন দেশের গোলাপ’।  কিন্তু আদতে গোলাপের সঙ্গে জবার কোনোরকম সম্পর্ক নেই।

আড়াই থেকে পাঁচ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট জবা ফুলগাছের প্রস্থ হয় দেড় থেকে তিন মিটার।  পাতা চকচকে এবং ফুল পাঁচ পাপড়িযুক্ত উজ্জ্বল লাল রঙের। ১০ সেন্টিমিটার ব্যাস বিশিষ্ট ফুলগুলো গ্রীষ্ম এবং শরত্ কালে ফোটে। জবা গাছ ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রায় বাচতে পারে না। সেকারণে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলসমূহে জবাগাছ গ্রিনহাউসে রেখে পালন করা হয়।

আরো পড়ুন
বছরে ২৩০টি ডিম দেয় নতুন জাতের ‘বাউ ডাক’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) উদ্ভাবিত নতুন জাতের হাঁস ‘বাউ-ডাক’ দেশের হাঁস খামার ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। যেখানে দেশি Read more

মৎস্য খাতে তরুণদের আগ্রহ আশাব্যঞ্জক: ফরিদা আখতার
fish conference

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, তরুণদের মধ্যে মৎস্য খাতে কাজ করার প্রতি যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, তা অত্যন্ত Read more

সৌন্দর্যবর্ধক জবা ফুলের ভেষজগুন

জবা কেবল ফুল হিসেবেই সুন্দর তাই নয়, এটি ভেষজগুণেও ভরপুর। এই ফুল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন রোগের উপশমে। এক চা চামচ জবাগাছের ছালের রস পানিসহ সাত দিন খেলে মাত্রাতিরিক্ত প্রস্রাব হলে উপশম হয়। মাত্রাতিরিক্ত খাওয়ার কারণে অস্বস্তি হলে জবাফুল বেটে শরবত করে খেতে পারলে বমি হয়ে অস্বস্তি দূর হয়ে যাবে।

সৌন্দর্যবর্ধক জবা ফুলের ব্যবহার

প্রায়ই চুল, দাড়ি, গোঁফ বা ভ্রুতে ফাংগাল ইনফেকশন এর কথা শোনা যায়। একে এলোপেসিয়া এরিয়েটা বলা হয়। এরূপ হলে জবাফুল বেটে প্রলেপ লাগিয়ে দিলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। জবাফুল বেটে চোখের ওপর ও নিচের পাতায় লাগানো হলে উপকার পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ বা হাতের  চামড়া উঠতে থাকলে লাল জবা ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়।   জবাফুল বেটে রস করে পানিতে মিশিয়ে খেলে সর্দি ও কাশিতে ভুগতে থাকা রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে। জবাপাতার রস তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে দিলে চুলের বৃদ্ধি বাড়ে।

0 comments on “সৌন্দর্যবর্ধক জবা ফুলের ভেষজগুন এবং ব্যবহার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ