চলতি বছরে চার দফা বন্যায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকেছেন ভূরুঙ্গামারীর চাষিরা। এবছর সরিষার ভালো ফলন হওয়ায় আনন্দে মুখরিত তারা। সেইসাথে সরিষা চাষের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা প্রায় দ্বিগুণ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৬ শত ৫৪ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সরিষা চাষ হয়েছে ২ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে, যা লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
জানা গেছে, সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো আবাদ করা যায়। এতে অল্প সময়ে একই জমিতে দুটি ফসলের চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক। একসময় কৃষকরা আমন ধান কাটার পর জমি পতিত ফেলে রাখতো। কিন্তু চলতি বছর কয়েক দফা বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কৃষকদের আগাম সরিষার আবাদ করতে হয়েছে। ফলনও ভালো হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন।
উপজেলার পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল সাত্তার জানান, দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে দেড় হাজার টাকা করে ব্যয় হয়েছে। সরিষার ক্ষেতে গেলে প্রাণটা ভরে যায়।
পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক এরশাদ জানান, আমন ধানে মাইর খেয়ে আড়াই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আশা করছি ভালো ফলন হবে। এই সরিষা বিক্রি করে বোরো আবাদের তেল ও সার কেনার টাকা জোগাড় হয়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, সরিষা মূলত একটি মসলা জাতীয় ফসল। স্বল্প সময়ের মধ্যে কৃষককে অধিক ফলন পেতে আমি এবং আমার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। যাতে কৃষকের কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়। আশা করছি কোনো প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে এবার এই উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হবে।