মহামান্য রাষ্টপতি ও চ্যান্সেলর এঁর অনুমোদনক্রমে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নতুন ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাস কে নিয়োগ প্রদান করা হয়। আগামী চার বছরের জন্য তিনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলার সন্তান অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাস ১৯৭৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স, ভারতের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি (১৯৮৮) এবং ইংল্যান্ডের ইস্ট অ্যংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরাল (কমনওয়েলথ ফেলো ২০০৫-৬) করেছেন।
তিনি পিএইচডি, এমফিল ও মাস্টার্স পর্যায়ে অনেকের গবেষণা কাজ তত্ত্বাবধান করার পাশাপাশি ইংল্যন্ড, ওয়েলস, ঘানা ও জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের (জার্মানির একটি ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াসসহ) সাথে সম্মিলিতভাবে গবেষণা প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী হিসাবে কাজ করেছেন এবং ব্যঙ্গুর বিশ্ববিদ্যালয় (ওয়েলস)-এ ভিজিটিং ফেলো হিসেবেও ছিলেন।
এক ডজনেরও বেশি নতুন প্রাণী প্রজাতির আবিষ্কর্তা এই অধ্যাপকের দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে ৯০টি গবেষণা প্রবন্ধ (বুক চ্যাপ্টারসহ)প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা তিন (সম্পাদিতসহ)। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি দেশে প্রবন্ধ উপস্থাপন/প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এই অধ্যাপক।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি (২০২১-২২), রাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রশাসক (২০১০-১৩), বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (২০১৩-১৬) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটর (১৯৯৭-২০০১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশ বিদেশের অনেক সোসাইটির তিনি সদস্য। অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাস পরিবেশ বিষয়ক বেতার ও দৈনিক সংবাদপত্রে নিয়মিত লিখালেখি করেন। হিমালয় ও সুন্দরবন তাঁর গবেষণার প্রিয় ক্ষেত্র।
২০০৯ সালে ঘুর্ণিঝড় আইলার আঘাতে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল লণ্ডভণ্ড হলে সেই মর্মান্তিক ঘটনার উপর একটি ডকুড্রামার (Living With Disaster)স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন। এটি যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ভারত ও ঘানাতে প্রদর্শিত হয়।
এগ্রোবিডি২৪ডটকম পরিবারের পক্ষ থেকে স্যার কে অভিনন্দন এবং শুভকামনা।