ঢাকায় এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলন শেষ হয়েছে। এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলন এ চূড়ান্ত রিপোর্ট উপস্থাপিত হয়। এতে ডিজিটাল হাব স্থাপন, গবেষণার বিশেষ ফান্ড গঠন, সবুজায়ন, জলবায়ুসহনশীল কৃষি, ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ গৃহীত হয়।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সম্মেলন।
চার দিনব্যাপী আয়োজিত ৩৬ তম এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন (এপিআরসি) আজ আজ ১১ মার্চ শেষ হয়েছে।
এ সম্মেলনের আয়োজন করে কৃষি মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেছে এপিআরসির সদস্য ৪৬টি দেশ।
এ সম্মেলনে চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেছে এপিআরসির সদস্য ৪৬টি দেশ।
ডিজিটাল হাব স্থাপন, গবেষণার জন্য বিশেষ ফান্ড গঠন, সবুজায়ন বৃদ্ধি, জলবায়ুসহনশীল কৃষি, টেকসই কৃষিখাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং মানুষ, প্রাণি ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে সমান গুরুত্ব ও আন্তনির্ভরশীল হিসেবে বিবেচনা করে ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচকে অগ্রাধিকার দিয়ে এ চূড়ান্ত রিপোর্ট গৃহিত হয়।
আজ শুক্রবার ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তখন তিনি এসব কথা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম ও খাদ্যসচিব নাজমানারা খানুম প্রমুখ।
বাংলাদেশ পরবর্তী দুই বছরের জন্য এপিআরসির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে এই সম্মেলনে।
পরবর্তী এপিআরসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলংকায়।
কৃষিমন্ত্রী জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
আর এ প্রভাব মানবজীবনের সবকিছুকেই প্রভাবিত করবে।
তবে এই প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি খাত।
আর কোভিডের প্রভাবে এ অঞ্চলের কৃষি, খাদ্য ও অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে।
আর বর্তমানে সারের উৎপাদন অনেক কমে গেছে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশ গুলো এ ব্যাপারে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এফএওর সম্মেলনে মালদ্বীপ তাদের অস্থিত্ব বিলীন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
কৃষিমন্ত্রী আরও জানান যে, এ অবস্থায় জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও কোভিড মোকাবেলা করে টেকসই কৃষিখাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
আর এর জন্য গবেষণার মাধ্যমে ফসলের নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা সম্প্রসারণে একসাথে কাজ করার কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে।
এখানে এফএওর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য একটি ‘ বিশেষ ফান্ড’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী জানান এটিকে চূড়ান্ত রিপোর্টের মধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে বলে।
এ সম্মেলনে ডিজিটালাইজড কৃষি গুরুত্ব পাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
ডিজিটাল হাবে ৪৬টি দেশের কৃষিপ্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী তথ্যসমৃদ্ধ থাকবে।
এতে সকল দেশ উপকৃত হতে পারে।
মন্ত্রী জানান যে জাপান কৃষিতে ড্রোন, রোবট ব্যবহার বা প্রিসিশন কৃষি পরিচালনা করছে।
মানুষ, প্রাণি ও পরিবেশের স্বাস্থ্য রক্ষায় ‘ ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ’ গ্রহণ করা হয়েছে এ সম্মেলনে।
দেশগুলো এ অঞ্চলে ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে।