সামুদ্রিক মাছের সংখ্যা বাড়ানো, সুষ্ঠু প্রজনন ও আহরণ নিশ্চিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে মৎস্য অধিদপ্তর। এসময় টুনা ফিস, চিংড়ি, লবস্টার, কাটল ফিসসহ সকল প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ধরা যাবে না।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। অর্থাৎ ২০ দিন পর জেলেরা ৬৫ দিনের জন্য সমুদ্রে মাছ ধরতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে বাস্তবায়নে আগ মুহূর্তে নির্দেশনাপত্র নৌবাহিনী সদর দপ্তর, জননিরাপত্তা বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, কোস্ট গার্ড, র্যাব সদর দপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, নৌপুলিশ, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, সমুদ্র উপকূলীয় ১৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরে পাঠানো হবে।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সমুদ্রগামী চার লাখ ১৯ হাজার ৫৮৯টি জেলে পরিবারকে ২৩ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী (ভিজিএফ) বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে জেলে পরিবারের সংখ্যা এবার বাড়তে পারে। মূল কথা প্রতি জেলে পরিবারকে ৬৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হবে। অর্থাৎ একদিন সমুদ্রে মাছ না ধরার জন্য দৈনিক এক কেজি চাল পাবেন জেলে পরিবারগুলো।
মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ম. মাহবুবুল হক বলেন, এবারও ৬৫ দিনের জন্য সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা আসছে। আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। বিনিময়ে সঠিক তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে প্রতিটা জেলে পরিবারকে ৬৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
চ্যানেলের উৎসমুখে সব মাছ ধরার নৌ-যানের গমন বিরত রাখা, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ব্যাপক প্রচার, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, আড়ত, বরফকলগুলোতে মৎস্য অবতরণ না করা, কেনাবেচা বন্ধ এবং বরফ
সরবরাহ না করার বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ সময়ে মৎস্য অধিদপ্তর সমুদ্রে অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, মাছঘাট, আড়ত ও বাজার মনিটরিং, সার্ভেইল্যান্স চেক পোস্ট থেকে নৌ-যান বন্ধে কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। বাণিজ্যিক
ট্রলারের সমুদ্র যাত্রার আদেশ বন্ধ, সমুদ্রে অবস্থানরত সব ট্রলার, ফিশিং বোটের ১৯ মের মধ্যে ফিরে আসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেবে অধিদপ্তর।