Thursday, 28 March, 2024

সর্বাধিক পঠিত

মধুর উপকারিতা কি?

চাষির প্রশ্নCategory: কৃষি তথ্যমধুর উপকারিতা কি?
shafiq asked 4 years ago
1 Answers
এগ্রোবিডি২৪ Staff answered 4 years ago

মধু উপকারিতা কি? মধুর  স্বাস্থ্য উপকারিতায়
মধুকে খাবার এবং ঔষধ দুটোই ধরা হয়। মধু সকল বয়সের মানুষের জন্য বেশ উপকারী। চিনির বিপরীতে মধুর ব্যবহার শত ভাগ নিরাপদ।
. মধু এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
অপ্রকিয়াজাতকরণ এবং ভাল মানের মধুতে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে প্রচুর পরিমানে। মধুতে থাকা প্রাকৃতিক এসিড ফ্লাবিনয়স উপাদানটি মধুতে এন্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করে। যা রক্তে মিশে বাড়তি কোলেস্টেরলের মাএা কম করে এবং হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি, স্ট্রোক কমায় এবং  ক্যান্সরের সেল শরীরে উৎপন্ন হতে বাধা দেয়।
২. মধু উচ্চ রক্ত চাপ ঝুঁকি কমায়
উচ্চ রক্ত চাপ বেশ ঝুঁকি পূর্ণ হার্টের রোগের ক্ষেত্রে। নিয়মিত মধু খেলে অনেকাংশে এই সকল ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। কারণ মধুতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে আপনার হার্টকে রাখে সুরক্ষিত।    
৩. মধু শরীরের কোলেস্টেরলের মাএা কমায়
বর্তমান সময়ে বেশ মারাত্নক একটি সমস্যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাএা বেড়ে যাওয়া। যা হার্ট এ্যাট্রাকের অন্যতম প্রধান কারণ। মধু রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল LDL এর মাএা নিয়ন্ত্রণে  সাহায্য করে এবং রক্তে ভাল কোলেস্টেরলের মাএা HDL বাড়িয়ে দেয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো মধু সেবনে কোলেস্কোলেস্টেরল বাড়ার কোন ঝুঁকি নেই। তাই কোলেস্টেরল নিয়ে যারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন , তারা অনেকটা নিশ্চিন্তভাবে চিনির বিপরীতে মধুকে ব্যবহার করতে পারেন।                                       
৪. ট্রাইগ্লিসেরাইডের ঝুঁকি হ্রাস করে মধু
ট্রাইগ্লিসেরাইড হচ্ছে আমাদের শরীরের তিনটি ফ্যাটি এসিড গ্রুপের একটি। যার অতিরিক্ত মাএার উপস্থিতি আমাদের হার্ট এ্যাট্রাকের ঝুঁকি সহ  আরও বিভিন্ন রকম হার্টের রোগ দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে। তাছাড়া ডায়াবেটিস টাইপ – ২ এর রোগ বৃদ্ধি করে ট্রাইগ্লিসেরাইড।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, চিনি  ট্রাইগ্লিসেরাইডের লেভেল শরীরে বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে মধু  ট্রাইগ্লিসেরাইডের লেভেল শরীরে বেড়ে উঠতে বাধা দেয়। তাই চিনির বদলে মধুর স্বাদ স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো।                       
৫. হার্ট সুস্থ রাখে মধু
বর্তমান সময়ে বড় একটি চ্যালেন্জ হার্টকে সুস্থ রাখা৷ কারন হার্ট সুস্থতো আপনি ফিট।
মধু হচ্ছে  ফিনোলস্ এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ সবচেয়ে ভাল উৎস। মূলত এই দু’টি উপাদান আমাদের হার্টে রক্ত প্রবাহ সচল রাখে। এতে হার্ট সুস্থ থাকে। সে প্রাচীনকাল থেকে এখনও পযর্ন্ত মধু সেবনকে হার্টের সুস্থতার কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৬. মধু কফ উপশমকারি
ঠান্ডা জনিত যেকোন রোগে মধু অনেকটা মহা ঔষধের মতো কাজ করে। বিশেষ করে কাশি ও কফ উপশমে মধুর কোন তুলনা নেই।
আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা গেছে মধু কফ উপশমকারি যেকোনো ওষুধের চেয়ে দ্বিগুণ কার্যকর।
আরেক গবেষণায় দেখা গেছে কফ উপশম করার ছাড়াও ঘুম ভাল হওয়ার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
৭. ওজন কমাতে সাহায্য করে মধু
চিনি থাকা হাই ক্যালরি ওজন বৃদ্ধির জন্য অনেকটা দায়ী। চিনির বিপরীতে মধুর ব্যবহার আপনাকে ওজন বৃদ্ধির এই কবল থেকে অনেকটা রক্ষা করবে। আজকাল ডায়েট চার্টে ডাক্তারগণ মধু রাখার পরামর্শ দেন।
মধুর তৈরি যেকোন পানীয় আপনার মেটাবলিজম সিস্টেমকে ভালো রাখে এবং হাই ক্যালরি প্রদানের মাধ্যমে আপনার পেটকে দীর্ঘক্ষন ভরিয়ে রাখে।                  

জনপ্রিয় লেখা