মাগুরায় বাঙ্গির বিকল্প ফল নালিম চাষে আগ্রহ বেড়েছে এ অঞ্চলের কৃষকদের। কম পরিশ্রম ও লাভ বেশি হওয়ায় এ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
মাগুরা কৃষি বিভাগ বলছে, এবার জেলায় ১৬০ হেক্টর জমিতে নালিম চাষ হয়েছে। নালিম একটি পুষ্টিকর ফল। বাঙ্গির বিকল্প ফল হিসাবে নালিমের কদর অনেক। বর্তমানে রমজান মাসে নালিমের চাহিদা বেড়েছে। বাজারে এখন প্রতি পিস নালিম ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জেলায় দিন দিন এ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আগামী দিনেও নালিম চাষ করতে জেলার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, মাগুরা সদরের ইছাখাদা, মুছাপুর, সত্যপুর, হাজরাপুর, হাজিপুর, নালিয়ালডাঙ্গি, শিবরামপুর ও নড়িহাটি গ্রামে নালিমের চাষ হচ্ছে। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও নালিমের ফলন তেমন ভালো হয়নি।
স্থানীয় চাষিরা জানান, উপযুক্ত সময়ে নালিমের বীজ রোপণ করেছেন তারা। কিন্তু তীব্র খরায় ও তাপদায়ে এবার নালিমের অনেক গাছ মরে যাওয়ায় ফলন তেমন ভালো হয়নি।
মাগুরা সদরের ইছাখাদা গ্রামের রজব আলী মোল্যা বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে নালিমের চাষ করেছি। এরইমধ্যে জমি থেকে নালিম তুলেছি। তবে এবার প্রচণ্ড তাপদায়ে নালিমের আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, গত বছর যেখানে নালিমের বাম্পার ফলন হয়েছিল, সেখানে এবার ফলন খুবই কম। এবার জেলার বাইর থেকে অনেক ব্যাপারি নালিম কিনতে আসছেন কিন্তু উৎপাদন ভালো না হওয়ায় তাদের চাহিদা অনুযায়ী দিতে পারছি না। তার কারণ প্রচণ্ড খরতাপে নালিমের গাছ মরে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই ফলন বিপর্যয় হওয়ায় আমাদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
রজব আলী মোল্যা আরও বলেন, আমাদের উৎপাদিত নালিম ঢাকা, মাদারীপুর, শিবচর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় যায়। ব্যাপারীরা প্রতি বছর ট্রাক ভর্তি করে নালিম নিয়ে যান। এবার প্রতি ট্রাক নালিম ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে গত বছর এক লাখ টাকার ওপরে বিক্রি করেছি।