দীর্ঘ ত্যাগ-তিতিক্ষা পর একটি দেশ যখন স্বাধীন হয় তখন এর প্রতি জনগণের অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকে। ভাষা তেমন একটা বিষয়। সাতচল্লিশের দেশ ভাগের পর পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকরা তাদের কৃষ্টি-কালচার এবং ভাষাকে এদেশের উপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কেননা একটি জাতিকে দমিয়ে রাখার বড় অস্ত্র ভাষা। এ অন্যায়ের প্রতিবাদেই মানুষ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যা পরবর্তীতে ১৯৫৪, ১৯৬৬, ১৯৬৯ সালের আন্দোলন এমনকি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধেও প্রেরণা যুগিয়েছে। ফলে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ গিয়াসউদ্দিন মিয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রেজারার এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ।
তিনি তাঁর বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, পাকিস্তানী সামরিক সরকার পূর্ব বাংলায় শাসন ও শোষণের নীল নক্সা বাস্তবায়নে বাংলা ভাষার উপর বারবার আঘাত হেনেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বশেমুরকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ আরিফুর রহমান খান, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মোঃ আরিফুর রহমান মন্ডল।