বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল ওয়েবনারের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগ।
মঙ্গলবার (১ জুন) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ভার্চুয়ালি ওয়েবনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. রায়হান হাবিবের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় ওয়েবনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম (এমপি)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রওনক মাহবুব। ওয়েবনারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুইয়া, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা শেখ আজিজুর রহমান, বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক ডা মো আব্দুল জলিল, বাকৃবি ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড, এ কে এম জাকির হোসেন এবং বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম।
ওয়েবনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষই দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের সাথে সম্পৃক্ত। সরকার চায় বাংলাদেশে বেসরকারি পর্যায়ের উদ্যোক্তরা গুড়োদুধ পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে আসুক। এতে করে গুড়ো দুধের আমদানি কমে যাবে। ডেইরি ফার্ম উদ্যোক্তাদের যাতে শুরতেই কর দিতে না হয়, সরকারের পক্ষ থেকে সে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
বাকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, পুষ্টি বিবেচনায় দুধের কোনো বিকল্প নেই। খামারীদের যদি আরো সহযোগিতা করা যায়, তাহলে আগামীতে দুধ উৎপাদন কয়েক গুণ বাড়বে। দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গাভীর জাত উন্নয়ন খুবই প্রয়োজন। আমরা যদি একটি পরিপূর্ণ রোডম্যাপ তৈরী করে এগুতে পারি, খুব দ্রুতই আমরা এ সেক্টরে আরো উন্নয়ন ঘটাতে পারব।