বাংলাদেশ ব্যাংক ডাউন পেমেন্ট (টাকা) ছাড়া কৃষি ঋণ পুনঃতফিলের সুযোগ দিয়েছে। এতে নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন কৃষক। করোনা পরিস্থিতিতে কৃষির উৎপাদন অব্যাহত রাখতে এই সুযোগ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন বলা হয়, ২০২০ সাল হতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় দেশের অন্যান্য খাতের ন্যায় কৃষি খাতের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এর ফলে কৃষকদের পক্ষে তাদের গৃহীত ব্যাংক ঋণ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কৃষি ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত হলে কৃষি খাতে নতুন অর্থায়ন বিঘ্নিত হয়ে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। জিডিপি প্রবৃদ্ধিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সার্বিক বিবেচনায়, কৃষি খাতে খেলাপি ঋণ হ্রাস ও নিরবচ্ছিন্ন ঋণ সরবরাহ নিশ্চিতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য স্বল্প মেয়াদী কৃষি ঋণ পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে নিচের নির্দেশনা অনুসরণীয় হবে-
(ক) ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ডাউন পেমেন্ট গ্রহণের শর্ত শিথিল করে স্বল্প মেয়াদী কৃষি ঋণ পুনঃতফসিলের তারিখ হতে সর্বোচ্চ দুই বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে। ক্ষেত্র বিশেষে বিনা ডাউন পেমেন্টেও এ ধরনের ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে।
(খ) ঋণ পুনঃতফসিলের পর কৃষকদেরকে পুনরায় নতুন করে স্বল্প মেয়াদী কৃষি ঋণ প্রদান করা যাবে। এক্ষেত্রে কোনো নতুন জমা ব্যতিরেকেই পুনঃতফসিল পরবর্তী নতুন ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে।
(গ) সার্টিফিকেট মামলা চলাকালীন গ্রাহকের সঙ্গে সমঝোতার (সোলেনামা) মাধ্যমে সার্টিফিকেট মামলা উত্তোলন বা নিষ্পত্তিপূর্বক ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে।
(ঘ) ইতোপূর্বে পুনঃতফসিলকৃত স্বল্প মেয়াদী কৃষি ঋণের ক্ষেত্রেও উল্লিখিত সুবিধাদি প্রযোজ্য হবে।