Thursday, 07 August, 2025

শসা চাষে শতাধিক কৃষক হয়েছেন লাভবান


মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের আনন্দবাস গ্রামের কৃষক আজাদ মোড়ল। তিনি শসা চাষ করে তিন গুণ লাভ করেছেন। পরিকল্পিত চাষ ও খেতের সঠিক পরিচর্যার কারণে ফলন বেশি। এর ফলন ধান–তামাকের চেয়ে শসার ফলন বেশি। এতে লাভও বেশি হয়। শুধু আজাদ নন, শসা চাষে শতাধিক কৃষক লাভবান হয়েছেন।

আজাদ মোড়ল জানান যে, ২০১৮ সালে শসা চাষ শুরু করেন।

তামাক চাষ ছেড়ে করছেন শসার চাষ

আরো পড়ুন
ভেনামী চিংড়ি চাষে রোগের কারন, লক্ষন, প্রতিকার এবং চিকিৎসা

ভেনামী চিংড়ি (Vannamei shrimp, Litopenaeus vannamei) চাষ বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে রোগবালাই এই চাষে অন্যতম Read more

বিদেশি আনারসের পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্য, নতুন দিগন্তের হাতছানি

দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে ফিলিপাইনের বিখ্যাত 'এমডি-২' জাতের আনারসের। কৃষি বিভাগ মনে করছে, এই Read more

তখন তিনি প্রথমবারের মতো তামাক চাষ ছেড়ে দেন।

তামাক চাষের জমিতে তিনি শুরু করেন শসা চাষ।

শুরুর ওই বছর জমিতে শসা চাষ করা হয় মাত্র এক বিঘা।

আগে এই জমিতেই তামাক চাষ করা হতো বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান যে প্রচুর সার ব্যবহার করতে হয় তামাক চাষে।

এলাকায় সারের দোকানে এই কারণে মোটা দাগের বাকি হতো তার।

তার স্ত্রীকে সারা রাত জেগে তামাক পোড়াতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে।

এমনকি তামাক জ্বালাতে গিয়ে তার স্ত্রী একসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তখন থেকেই তিনি  তামাকের বিকল্প শসা চাষ শুরু করেন।

সেই সময় প্রতি বিঘায় শসা ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছিল বলে তিনি জানান।

তার পরের বছর আরও দুই বিঘা জমিতে আবারও শসার চাষ করেন তিনি।

এভাবে বাড়াতে বাড়াতে বর্তমানে পাঁচ বিঘায় আবাদ করছেন তিনি।

বিঘাপ্রতি শসা আবাদে তার খরচ হয় ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা।

উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে জানা যায়, উপজেলার ১৪০ হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে শসার আবাদ হচ্ছে।

বর্তমানে মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর, বিশ্বনাথপুর, বাবুপুর, আনন্দবাস, কোমরপুর, মহাজনপুর, রশিকপুর, দারিয়াপুর, গৌরীনগর, যতারপুর, গোপালপুর এলাকায় শসাসহ অন্যান্য সবজি উৎপাদন হচ্ছে।

স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে এসকল পণ্য দখল করেছে দেশের বিভিন্ন এলাকার বাজার সমূহ।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সবজি বাজারে পাওয়া যায় এ অঞ্চলের শসা ও অন্যান্য সবজি।

মুজিবনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান খান।

তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের নির্দেশনা আর চাষিদের পরিশ্রম এবং আবহাওয়া অনুকূলে ছিল।

যার কারণে শসার ভালো ফলন হয়েছে চলতি মৌসুমে। সারা দেশে শসার চাহিদা রয়েছে প্রচুর।

যার কারণে চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছেন শসার ফলনে।

0 comments on “শসা চাষে শতাধিক কৃষক হয়েছেন লাভবান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ