Monday, 21 April, 2025

সর্বাধিক পঠিত

লিচু ফেটে যাওয়ার কারন ও প্রতিকার


অনেক সময় চাষীরা ফল ফাটার প্রকৃত কারন নির্নয় করতে পারেনা। সে জন্য একক ভাবে কোন চেষ্টার উপর নির্ভর না করে নিচের প্রতিকার গুলোর সমন্বিত ব্যবস্থা নিলে কার্যকর ভাবে লিচুর ফাটল রোধ করা সম্ভব হবে।

সুমিষ্ট ফল লিচু। এই লিচুর সবথেকে মারাত্বক রোগ হল ফেটে যাওয়া। চাষকৃত লিচুর অনেক জাত রয়েছে। বোম্বাই লিচুতে সব থেকে বেশি ফল ফেটে যাওয়া রোগে আক্রান্ত হয়। লিচু কেন ফেটে যায় ও লেচুর ফেটে গেলে করনীয় কি ? লিচু ফাটা রোগ এবং প্রতিকার নিয়ে আজকের আলোচনা

লিচু কেন ফেটে যায়?

আরো পড়ুন
কক্সবাজার উপকূলে ১০ হাজারের বেশি কচ্ছপের বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত

চলতি মৌসুমে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন উপকূলে কচ্ছপের ডিম সংরক্ষণ ও বাচ্চা প্রজননে তৎপরতা বেড়েছে। বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বেসরকারি সংস্থা Read more

হালদা নদীতে মা মাছের আগমন, ডিম আহরণে প্রস্তুতি তুঙ্গে
হালদার মা মাছ

চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছের আনাগোনা শুরু হয়েছে। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুরুতে এই নদীতে ডিম Read more

শীত কালের প্রভাব এখন ও যায় নাই। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যাপক তারতম্য, সাথে গরম আবহাওয়ার পর হঠাৎ পর্যাপ্ত সেচ প্রদান বা বৃষ্টিপাত ফল ফাটার কারন। ফল পাকার পূর্ব মুহূর্তে উচ্চ তাপমাত্রা, নিম্নমাত্রার আপেক্ষিক আদ্রর্তা তৎসহ দীর্ঘ বৃষ্টিপাত ফল ফাটার অন্যতম কারণ।

হরমোনজনিত, পুষ্টি জনিত এবং রোগ পোকার আক্রমন ও আঘাত জনিত কারনে ও ফল ফেটে যেতে পারে। আগাম পাকে এমন জাতের ফল ফাটার পরিমান নাবী জাতের তুলনায় বেশি। এ জন্য বোম্বাই লিচুতে ফল ফেটে যাওয়ার রোগ বেশি।

লিচু ফাটা রোগ

লিচু ফল ফাটা রোগের প্রতিকার

১) লিচু গাছের বছরে তিন বার বর্ষার শুরুতে, বর্ষার শেষে এবং শেষে গাছে ফুল আসার পর জৈব সাররাসায়নিক সার সুষম মাত্রায় দিতে হবে। গাছের বয়স অনুসারে জৈব ও রাসায়নিক সার দিতে হয়।

২) খরা মৌসুমে ফল ধরার পর থেকেই ১০-১৫ দিন পর পর লিচু গাছে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। সেচ প্রদানের পর প্রয়োজনে গাছের গোড়ায় কচুরিপানা বা খড় দ্বারা আচ্ছাদনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩) প্রতি বছর প্রতি গাছের গোড়ায় ক্যালসিয়াম সার (ডলোচুন ৫০ গ্রাম) দিতে হবে।

৪) ফল বৃদ্ধির সময় জিংক সালফেট ১০ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ২১ দিন পর পর গাছে স্প্রে করতে হবে।

৫) গুটি বাধার পরপরই প্লানোফিক্স বা মিরাকুলান প্রতি ৪.৫ লিটার পানিতে ২ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

৬) ১০ লিটার পানিতে ৬০ গ্রাম মিশিয়ে বোরন সার স্প্রে করতে হবে। ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে বোরিক এসিড বা সলুরোর বোরন ১০-১২ দিন অন্তর অন্তর ৩ বার স্প্রে করতে হবে।

৭) ২৫ পিপিএম হারে ন্যাপথালিন এসিটিক এসিডের সাথে জিবাবোলিক এসিড ৫০ পিপিএম হারে ১০ দিন পর পর স্প্রে করে লিচু ফল ফাটা রোধ করা যায়।

উপরোক্ত বিষয়ে লক্ষ রেখে কাজ করলে লিচু ফাটা রোগের প্রতিকার করা যায়।

লিচুর আরো ও রোগ বালাই হতে পারে। লাভজনক লেচু চাষের জন্য পড়ুন লিচুর ফল ঝরা রোগের কারন এবং দমন করার উপায়

তথ্য সূত্রঃ কৃষি বাতায়ন

0 comments on “লিচু ফেটে যাওয়ার কারন ও প্রতিকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ