কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় আউশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৬৫৯৩ হেক্টর। যার মধ্যে ৪৭২২৫ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে । গত বছরের তুলনায় এবার কম জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়েছে। সে তুলনায় ফলন অনেক বেশি ভালো হয়েছে।
সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে উপযুক্ত সময়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চাষিরা। সার, পোকামাকড় ও আগাছা দমনসহ ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে চাষিদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে সময়মত। যার ফলাফল হিসেবে এ বছর আউশ ধানের ভালো ফলন হয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়।
সদর উপজেলার আমতৈল ইউনিয়নের ঘাগটিয়া, মাসকান্দি, ফতেপুর গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্ষার শুরুতে জমিতে পানি জমেনি। তাই আউশ ধান রোপণ করতে দেরি হয়। কিন্তু দেরিতে হলেও প্রয়াজনীয় রোদ বৃষ্টি ও কৃষি বিভাগের পরামর্শ থাকায় ক্ষেতে ভালো ফসল হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর, রহিমপুর, মুন্সিবাজার, পতনঊষার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায় আউশ ধান ঘরে তুলতে সবাই ব্যস্ত। চারদিকে চলছে ধান কেটে ঘরে তোলার প্রতিযোগিতা।
অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়ে কেউ কেউ জমির আউশ ধান কাটাছেন। আবার কেউ মেশিন দিয়ে মাড়াই করছেন, কেউবা খড় থেকে ধান ছাড়াচ্ছেন।
মুন্সিবাজারের কৃষকর জানান, শুরু থেকে পানির অভাবে অনেক ক্ষতি হলেও ফলন ভালো হয়েছে। ধান তুলতে ও শুকাতে তাদের কিছুটা কষ্ট করতে হচ্ছে। কিছু সময় বৃষ্টি কিছু সময় রৌদ্র থাকে। তাছাড়া বৃষ্টির পানিতে উঠান ভেজা থাকায় ধান শুকাতে সমস্যা হচ্ছে।
রাজনগর উপজেলার কৃষকরা জানা্ন বষার্র ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আউশের চারা রোপণে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তবে অল্প অল্প বৃষ্টিপাতের মাঝে আউশ এর ফসল ভালো হয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলে হয়তো আরও কিছু জমি চাষ করা যেতো কিন্তু ফসল ভালো হওয়ায় সেটা নিয়ে ভাবছে না তারা।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বলেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আউশ চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম ছিল। তবে অধিদপ্তর কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা করার কারণে ফলন ভালো হয়েছে।