মেহেরপুরে গাজরের চাষ বেড়েছে কয়েকগুণ। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার গাজরের চাষ খুব বেশি হয়েছে। অল্প সময়েই গাজরের ফলন বেশি হয়। আর তাই জেলার চাষিরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।
এছাড়া গাজর চাষের আরও একটি অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে।
অন্য যে কোন ফসল চাষের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচে চাষ করা যায়।
তার বদলে এতে দ্বিগুণ লাভ হয়। ফলে জেলায় গাজর চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।
জেলায় ৪ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর জেলায় ২০ হেক্টর জমিতে গাজর চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল।
কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে, ২৪ হেক্টর জমিতে।
অল্প সময়ে উৎপাদন ভালো হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে গাজর চাষ।
সূত্র জানায় আগামীতে চাষ আরও বেড়ে যাবে।
গাংনী উপজেলার বামন্দী গ্রামের গাজর চাষি জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, তিনি এক বিঘা জমিতে এ বছর গাজর চাষ করেছেন।
তাছাড়া এবছর এর ফলনও খুব বেশি ভালো হয়েছে।
তার আশা এই যে সব ঠিকঠাক থাকলে এবার প্রতি বিঘায় ৯০ মণ পযর্ন্ত গাজর উৎপাদন সম্ভব হবে।
নিশিপুর গ্রামের গাজর চাষি ইন্তাজুল।
তিনি জানান, গত দশ বছর ধরে তিনি গাজর চাষ করে আসছেন।
গাজর এমন একটি ফসল যার চাহিদা সব সময়ই থাকে বলে জানান এই গাজর চাষি।
যার কারণে গাজরের বিক্রি নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করেন না তিনি।
অন্যদিকে আবার গাজরের দামও ভালো পাওয়া যায়।
তার ভাষ্যমতে, এবার তার এক বিঘা জমিতে প্রায় ৯০ মণ গাজরের ফলন হয়েছে।
প্রতি মণ গাজর প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন তিনি।
শুরুর দিকে প্রতি মণ ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে প্রতি বিঘায় গাজর চাষে খরচ হয়েছিল নয় হাজার টাকার মত।
মেহেরপুর কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শষ্য) একে এম কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, গাজর চাষে জেলার কৃষকদের আগ্রহ বেড়ে গেছে।
এর কারণ হিসেবে গাজর চাষে কম খরচে অধিক মুনাফা পাওয়া সম্ভব বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন খুব ভালোভাবে এক বিঘা জমিতে গাজর চাষ করতে খরচ হয় পনের হাজার টাকার মত।
আর বিঘা প্রতি ৯০ মণের মত গাজর উৎপাদন হয়।
এই গাজরের বাজার মূল্য হয় লক্ষাধিক টাকা।
আর এসব কারণেই কৃষকদের কাছে গাজর চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।