Monday, 18 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

মুরগীতে এভিয়ান ইনফ্লুইঞ্জা (Avian influenza)


মুরগিতে এভিয়ান ইনফ্লুইঞ্জা

Avian influenza পোল্ট্রি ক্ষেত্রে একটি মারাত্মক সংক্রামক ছোয়াচে এবং ভাইরাল রোগ। এটি Orthomyxoviridae family এর কিছু ভাইরাস দিয়ে হয়ে থাকে। সাধারণত ডিম পাড়া মুরগীতে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।মুরগীতে এভিয়ান ইনফ্লুইঞ্জা (Avian influenza) একটি মারাত্বক ছোয়াচে এবং মুরগির খামারে ক্ষতিকারক রোগ।

Avian influenza দুই ধরনের হয়ে থাকে।

1. Highly pathogenic(হঠাৎ মারা যায়। Mortality rate high upto 100% within 48hours )

আরো পড়ুন
গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্টকরণে করনীয় কি?
কুরবানির গরু

গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্টকরণের জন্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। লাভজনক পশু খামার পরিচালনা করার জন্য সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা Read more

বাংলাদেশে পোষা প্রাণীর খাদ্য, ঔষধ ও সরঞ্জামের ব্যবসা ক্রমবর্ধমান
পোষা প্রানী_Pet Animal 3

ব্যস্ততা বেড়ে যাবার সাথে সাথে মানুষের শহরে জীবনের প্রতি চাহিদা বেড়ে চলেছে। পোষা প্রানীর প্রতি মানুষের সহানুভূতি বাড়ছে। বাংলাদেশে পোষা Read more

2. Low pathogenic(সাধারণত খুব কম sign,symptoms দেখা যায়,Mortality rate low)

কোন species বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে?

গৃহপালিত মুরগী,টার্কি,কোয়েল,গিনি ফাউল,pheasant.

কেন হয়ে থাকে?

Avian influenza সাধারণত Influenza virus(under Orthomyxoviridae) এর কারণে হয়।

এটির কিছু সাব টাইপ আছে যা মূলত Antigenic relationship in virus glycoproteins haemogglutinin(H) and Neuraminidase(N) এর ভিত্তিতে নির্ধারণ হয়ে থাকে।

এর মাঝে H5N1 এবং H7N1 সাবটাইপ বেশি ক্ষতি করে থাকে।

মুরগিতে এভিয়ান ইনফ্লুইঞ্জা

মুরগীতে এভিয়ান ইনফ্লুইঞ্জা রোগের লক্ষণ-

এই রোগের লক্ষ্মণগুলো সাধারণত কিছু factor দিয়ে প্রভাবিত হয়ে থাকে যেমন (Age,species,sex,environment etc)

Highly pathogenic avian influenza এর ক্ষেত্রে

1. স্নায়ু বৈকল্য।

2. খাওয়া কমে যাওয়া।

3. swelling এবং নীলচে রং দেখা যাবে মাথা ও গলার ঝুটি তে রক্ত চলাচল ঠিক মতো না হওয়ার জন্য।

4. ডিম পাড়ার হার কমে যাবে।

5. কাশি হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং ডাইরিয়া হতে পারে।

6. হটাৎ করে মারা যায় কোনো রকম পূর্ব Sign,symptoms ছাড়ায়।

7. Mortality rate ১০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে species ভেদে।

8. শ্বাসকস্ট সহ,ঘড় ঘড় শব্দ করে ঘন ঘন শ্বাস নিতে পারে।

Low pathogenic Avian Influenza এর ক্ষেত্রে

1. প্রাইমারি ভাবে respiratory disease দেখা যাবে।

2. Laying bird e এগ প্রোডাকশন কমে যাবে।

3. মৃত্যু হার কম হয়ে থাকে।

এ ছাড়া মাছ চাষ বিষয়ক আমাদের বাস্তব জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা গুলো পড়লে আপনি মৎস্য চাষে সফলতা সহ বিনিয়োগে লাভ করতে পারেন। পড়তে মৎস্য চাষ ক্যাটাগরিতে ক্লিক করুন

Post-mortem lesions

1. Petechial and ecchymotic haemorrhage দেখা যাবে specially larynx,trachea,proventriculus region এ।

2. Subcutaneous oedema দেখা যাবে hock and head region এ।

3. Air sac গুলোতে exudate থাকতে পারে।

4. Pinpoint haemorrhage দেখা যাবে পায়ের লোমহীন জায়গাতে।

মুরগীতে এভিয়ান ইনফ্লুইঞ্জা যেভাবে ছড়ায় :

সাধারণত, Avian influenza virus, aresols এর মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে।

ভাইরাসটি সেল এ প্রবেশ করে respiratory passage এ যায়।

প্রাথমিকভাবে সংক্রমনের সময় এটি ciliated epithelium cell of nose,throat and intestinal এরিয়াতেই হয়ে থাকে।

এরপর সাধারণত Cell necrosis হয়ে থাকে যা পরবর্তীতে acute respiratory infection এ রুপান্তরিত হয়।

➡Highly pathogenic avian influenza এর ক্ষেত্রে, respiratory tract প্রাইমারি রেপ্লিকেশন সাইট হিসেবে কাজ করে,

➡অপর দিকে,Low pathogenic avian influenza এর ক্ষেত্রে intestinal tract প্রাইমারি রেপ্লিকেশন সাইট হিসেবে কাজ করে থাকে।

বাংলাদেশের এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার অবস্থা –

২০০৭ সালের দিকে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম highly pathogenic এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা দেখা যায়। ১৫ মার্চ-২০০৭ এ BLRI তে, ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি ফর এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (NRL-AI) প্রথম তা ডায়গোনসিস করে এবং h5-সাবটাইপ ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। ২০০৯ এর মে নাগাদ (NRL-AI) ৩২৩ টি h5 এবং ৩ টি h9 পজিটিভ কেস পায়।

পরবর্তীতে জিন বিন্যাসের মাধ্যমে এটি জানা যায় যে, বাংলাদেশে এই ভাইরাসের সূত্রপাত মূলত পরিযায়ী পাখিদের মাধ্যমে হয়েছে।

২০০৭ এবং ২০০৮ সালের দিকে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের ক্ষেত্রে চরম ধস নেমে আসে এই এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য যেটি প্রায় ৩৮৫৮ কোটি টাকার মতো। একারণে ব্রয়লার এর মূল্য ২৮% এবং ডিমের মূল্য ২৬.৭% কমে যায়। অনেক ক্রেতা কেনা থেকে বিরত থাকার ফলে এ বাজারে অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। অনেক খামারি তখন এ শিল্প থেকে সরে যেতে থাকায় রাজস্বে ব্যাপক প্রভাব পড়ে।

এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (বার্ড-ফ্লু)-

মানুষের ক্ষেত্রে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের ফলে রোগ হয়ে থাকে যা বার্ড-ফ্লু নামে পরিচিত। মূলত H5N1 সাব-টাইপ দ্বারা হয়ে থাকে।

সাধারণত এই সংক্রমণের ফলে তেমন কোনো ক্ষতি হয়না। সাধারণ ফ্লু সিম্পটম দেখা যায় যেমন -জ্বর, গলা ব্যাথা,মাংসপেশীতে ব্যাথা ইত্যাদি। এছাড়া মাত্রা তীব্র হলে,নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।

তবে আশার কথা হচ্ছে যে এটি মানুষের মধ্যে সংক্রমণের হার অনেক কম।

এছাড়া সংক্রমণ এড়াতে হলে মাংস এবং ডিম ভালো ভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।

Avian influenza প্রতিরোধ এ কি করবেন-

  1. জৈবনিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
  2. ফার্মের আশেপাশে অন্য বন্য পাখির প্রবেশ করতে দেয়া যাবেনা।
  3. নিয়মিত ভাবে খাবার পাত্র ও পানির কন্টেইনার পরিস্কার করতে হবে।
  4. ফার্মের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ করা যাবেনা।
  5. প্রতিবার নতুন ব্যাচ নিয়ে আসার সময় আগের ব্যাচের ব্যবহৃত সকল জিনিস (খাবার উচ্ছিস্ট,লিটার) সরিয়ে ফেলতে হবে।
  6. নির্ভরযোগ্য জায়গা থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে
  7. খামারে প্রবেশের সময় নিয়ম মেনে জীবানুমুক্ত হতে হবে।

➡Avian Influenza আক্রান্ত হয়ে গেলে একজন রেজিস্ট্রার্ড ভেটেরিনারি ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী চিকিৎসা করাতে হবে।

অনুচ্ছেদটি লেখেছেন

Shanaj rupa

3rd year, Jhenaidah govt veterinary College

0 comments on “মুরগীতে এভিয়ান ইনফ্লুইঞ্জা (Avian influenza)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা