কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশ আজ খাদ্যশস্য, মৎস্য এবং প্রাণিজসম্পদ উৎপাদনে বিশ্বে রোল মডেল। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর আবাদী জমি কমে যাওয়া সত্ত্বেও ১৬ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার খাদ্যের যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। কৃষির এই অগ্রগতিতে এদেশের কৃষিবিদ ও কৃষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
শনিবার (১৩ ফেব্রয়ারি) কৃষিবিদ দিবস-২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাকৃবি প্রশাসন ও অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ময়মনসিংহ সিটি করর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু এবং বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সচিব কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এবং বরিশালের ইউনির্ভাসিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের উপাচার্য কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম খানকে একুশে পদক-২০২০ প্রাপ্তির জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৭ (মরণোত্তর) অর্জন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ন ম নাজমুল আহসানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অবিস্মরণীয় শত উক্তি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পরে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আতশবাজির আয়োজন করা হয়।