বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)। ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সাল এর মধ্যে উদ্ভাবন করেছে ফসলের ৩০৬টি উন্নত জাত । এছাড়াও ৩৬৩টি কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। শুধুমাত্র ধান বাদে অন্য সব ধরনের ফসল নিয়ে গবেষণা করে বারি। বর্তমানে ২১১টি ফসল নিয়ে গবেষণা করছে এই সংস্থা।
গত রোববার গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) একটি কর্মশালা অায়োজন করে।
এই গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে খাদ্যনিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবক ও গবেষকদের আরও কাজ করতে হবে।
বিভিন্ন ঘাতসহনশীল জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
কৃষকের কাছে উদ্ভাবিত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি দ্রুত পৌঁছে দিতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, কেবল উদ্ভাবন করে নিয়ে বসে থাকলে হবে না।
সেগুলো দ্রুত কৃষকের কাছে ও মাঠে সম্প্রসারণ করতে হবে।
কৃষকের হাতে উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি যেতে অনেক দেরি হয়।
অনেক ক্ষেত্রে ৮-১০ বছর লেগে যায়।
মন্ত্রী বলেন এটা কোনোমতেই কাম্য নয়।
উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের এই সময়কাল কমাতে হবে বলে তিনি মত দেন।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী পরিদর্শন করেন উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ও মৃত্তিকাবিজ্ঞান এর দুটি আধুনিক ল্যাব ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী স্টল।
উল্লেখ্য যে এগুলো সম্প্রতি নতুন স্থাপিত।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী তার বক্তব্যে জানান যে দেশে খাদ্যের ঘাটতি নেই।
আলু, শাকসবজি, ফলমূলসহ বিভিন্ন ফসল ও খাদ্যের উদ্বৃত্ত রয়েছে বলে তিনি জানান।
এই উদ্বৃত্ত ফসল সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ রপ্তানি করতে চায়।
এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি প্রায় সমাপ্ত বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
কৃষিপণ্যের রপ্তানি গত ১ বছরে অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই নতুন স্থাপিত ল্যাবগুলো থেকে সার্টিফিকেট দিলে সারা বিশ্বেই তা গ্রহণযোগ্য হবে বলে তিনি মনে করেন।
এতে সামনের দিনগুলোতে রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান।
আরও ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
বারির মহাপরিচালক মো. নাজিরুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার এতে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বিএআরসির সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান জহুরুল করিম, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বারির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক (অব.) কাজী এম বদরুদ্দোজা এতে অংশগ্রহণ করেন।