এবার আবহাওয়া অনুকূলে ছিল ও প্রচুর পানির প্রাপ্তি ছিল। তাই নীলফামারীতে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে এবার। ধান চাষে খ্যাত উত্তরের এই জেলা। এখন মাঠজুড়ে শুধুই সোনালী ধানের সমারোহ। নীলফামারীতে আমনের বাম্পার ফলন হবার কারণে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, কৃষি বিভাগ চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ১৩ হাজার ৭৫ হেক্টর আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নামে।
এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত অর্জিত জমির পরিমাণ এক লাখ ১৩ হাজার ১০০ হেক্টর।
গত বছর এর পরিমাণ ছিল এক লাখ ১২ হাজার ৬৪২ হেক্টর।
তুলনামূলকভাবে এবার আমনের চাষ বেশি হয়েছে ৪৫৮ হেক্টর জমিতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হোমায়রা মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উফশি জাতের ধান ৯৪ হাজার ১৩৪ হেক্টর, স্থানীয় জাত ৫১০ হেক্টর, ও হাইব্রিড ১৮ হাজার ৪২৫ হেক্টর।
এ ছাড়া মোট আবাদের ৩১ হেক্টর জমিতে সুগন্ধি ব্রি-ধান চাষ করা হয়েছে।
এখানকার কৃষকরা আশা করছেন, চলতি মাসের শেষের দিকে সোনালী ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।
কৃষি বিভাগ শতভাগ ধান ঘরে তুলতে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
এর মধ্যে কৃষকদের ইঁদুর দমন, আলোক ফাঁদ ইত্যাদি উঠান বৈঠক করে উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে।
এসব কাজ ছাড়াও জেলায় ১৮৪ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাঠে রয়েছেন।
তারা কৃষকের জমিতে ফসলের তদারকিসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছেন।
চলতি মাসের শেষে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা বলেই তারা আশা করেন।
বাজারে ভালো দাম পেলে লাভবান হওয়ার আশা কৃষকদের
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে ছিল।
ক্ষেতে এবার কৃষক পোকা মাকড়ের আক্রমণ ছাড়াই ধান ঘরে তুলতে পারবেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জানান যে উঠান বৈঠকসহ সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
তুলনামূলকভাবে এবার উফশি জাতের ধানের আবাদ হয়েছে বেশি।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বাজারে ভালো দাম পেলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক।
তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের তৎপরতায় স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ কমেছে।
অন্যদিকে উফশি জাতের ধানের আবাদ বেড়েছে।
মোট ৯৪ হাজার ১৩৪ হেক্টর উফশির আবাদ হয়েছে।
তিনি আশা করেন, এসব ধানে এবারও বাম্পার ফলন হবে।
কৃষকের শতভাগ স্বপ্নপূরণ হবে বাজারে ধানের দাম ভালো পেলে।